গ্রেফতার করা হয়েছে বাইক চুরির সঙ্গে যুক্ত যুবকে। বাইক ফিরে পেয়ে খুশি বাইকের মালিক। পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করেছেন তিনি। চুরি হয়ে যাওয়া জিনিস উদ্ধারের ঘটনায় ফের একবার বড়-সড়ো সাফল্য পেল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বাংলা-বিহার সীমান্তের নাকা চেকিং পয়েন্টে তল্লাশির সময় একটি চোরাই বাইক উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তারপর সেই বাইক ফিরিয়ে দেওয়া হয় প্রকৃত মালিককে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এ এস আই জাকির হোসেন এবং অন্যান্য পুলিশের তৎপরতায় চলছিল নাকা চেকিং। চেকিং এর নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটা গাড়িকে থামিয়েই কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়। সেই সময় একটি বাইকের উপযুক্ত কাগজ পত্র না পেয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। সাথে সাথে বাইকটিকে আটক করা হয় এবং বাইক আরোহীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে এই বাইকটি চুরি করা হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মিলনগড় এলাকার বাসিন্দা মোঃ খাইরুলের বাইক এক মাস আগে হারিয়ে যায় কবাডি মাঠ থেকে। সেই সময় সে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের উপর ভরসা ছিল মোহাম্মদ খাইরুলের।
অবশেষে এক মাস পর তার বাইক উদ্ধার করলো হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বাইক চুরির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে দহুয়া এলাকার কুর্শী গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইলকে। এর আগেও সে এই ধরনের বাইক চুরির ঘটনায় জড়িত ছিল। চুরি হয়ে যাওয়া বাইকটিকে বিহারে পাচার করে দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তার।
এদিকে, এই মুহূর্তে ধৃত কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সাথে করা হচ্ছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত। তার সঙ্গে আরও কোন বাইক চুরির বড় ব্যাঙের যোগ রয়েছে কিনা সেই দিকটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি, বিহার সীমান্তবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় চুরি সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজকর্মের ঘটনার প্রায় ঘটতে থাকে। অপরাধীদের লক্ষ্য থাকে অপরাধ করে বিহার পালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের তৎপরতায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অপরাধীদের ধরা পড়তে হয় নাকা চেকিং পয়েন্টে। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি।