মালদহের হবিবপুর ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সিমান্ত লাগোয়া রয়েছে ঋষিপুর অঞ্চলের দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামে। সেখানে হয়ে আসছে ছয় মাথার কার্তিক পূজা।বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন রীতি মেনে পূজিত হলেন কার্তিক। এবছর ৬৪ তম বছর পদার্পণ করেছে। এই কার্তিক ঠাকুর ষড়ানন পুজো বলেই পরিচিত। এলাকারই কয়েকজনের ব্যাক্তি এই পুজো শুরু করেন। এই ষড়ানন কাছে তাদের মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার পর থেকেই এই চাঁদপুর গ্রামে তারা কার্তিক পূজা শুরু করেন। এই পুজো আজও পুরানো রীতি মেনে হয়ে আসছে। এই কার্তিক প্রতিমার বিশেষত্ব ছয়টি মাথা এবং বারোটি হাত যুক্ত। পূজা হয় নিশি রাতে। এই পুজোর সময় অনেকে এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় থেকে মনস্কামনা করে, তাদের মনস্কামনা পুরন হলে কার্তিক প্রতিমা মন্দিরে দেন।
প্রতিবছর এই পুজোর সময় ছোট ছোটো প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি মাটির কার্তিক প্রতিমা ভক্তরা মন্দিরে দিয়ে আসেন। সেই সব প্রতিমার পুজো করা হয়।
মন্দিরের পুরোহিত শিবানন্দ শর্মা জানান, একসময় অসুররা স্বর্গ রাজ্য দখল করেছিল সেই সময় দেবতারা স্বর্গ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। দৈববাণী হয়েছিল শিব ও পার্বতীর যে সন্তান হবে সেই সন্তানই অসুরদের বধ করবে। এরপর কার্তিকের জন্ম হয়। তারপর ছয় জন ঋষি মুনি বিভিন্ন ভাবে লালন পালন করেছিলে। সেই সময় ষড়ানন রুপে কার্তিক তাদের মনস্কামনা পূর্ণ করে। ছয় মাথা যুক্ত সেই রূপকে ষড়ানন রূপে পূজা করা হয়। সেই আদলে ছয়টি মাথা যুক্ত কার্তিক প্রতিমা পূজা করে আসছেন দক্ষিণ চাঁদপুরের গ্রামবাসীরা। এই পূজা উপলক্ষে বিশাল মেলাও বসে সেখানে।
এদিন সন্ধ্যায় পুজা মন্ডপ উদ্বোধনে আসে, হবিবপুর ব্লকের বিডিও সুপ্রতীক সাহা, হবিপুর থানার আইসি সুবীর কর্মকার সহ গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এদিন সন্ধ্যায় ফিতে কেটে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 + fourteen =