মোবাইলে আসক্তি, বকাবকি করায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী ১৪ বছরের কিশোর। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার কন্দখোলা মাঠপাড়া এলাকার। কিশোরের নাম সুশান্ত ওরাং। যারা যায় শান্তিপুর থানার মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা সতীশ ওরা়ং এর একমাত্র ছেলে সুশান্ত ওরা্ং। বর্তমানে সে নবম শ্রেণীতে পড়তো। ছোট থেকে মোবাইলের নেশা ছিল তার। সব সময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। বাড়ি থেকে এর আগেও একাধিকবার সেই কারণে বকাবকি করলেই রেগে যেত ওই কিশোর। জানা যায় আজ সাত সকালে মোবাইল দেখার কারণে পরিবারের তরফ থেকে বকাবকি করলে সে হঠাৎ গামছা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পাশের একটি আম বাগানে গিয়ে আম গাছের সঙ্গে ওই গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই কিশোর। স্থানীয় লোকজন মাঠে যাওয়ার সময় তাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি করলে পরিবারের লোকজন ছুটে যায়। ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে ওই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ ওই কিশোরের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি পড়াশোনা বাদ দিয়ে সব সময় মোবাইল দেখতো ওই কিশোর। মানা করলেই রেগে যেত। মূলত মোবাইলের আসক্তির ফলে ই এই ঘটনা ঘটেছে ওই কিশোর। তবে তেরো বছরের কিশোরের এই আত্মঘাতীর ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল ছড়িয়েছে এলাকায়। ১৩ বছরের আত্মঘাতীর প্রবণতা দেখে যথেষ্ট চিন্তিত পরিবেশ কর্মীরা।