মালদার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার চাইতে গেলে মিলছে দুর্ব্যবহার, সময়ে খুলছে না গেট। অভিভাবকরা বলতে গেলে গালিগালাজ এবং তেড়ে মারতে আসার অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর,তিনি বলেন সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা। ১লা মে ফের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বেনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে এমনটাই জানা যায়। সেন্টারের ভবন না থাকায় কর্মীর বাড়ি থেকেই চলছে সেন্টার, সেখান থেকে নিয়মিত মিলছে না খাবার। শিশু এবং অভিভাবকদের সঙ্গে করা হচ্ছে দুর্ব্যবহার। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর স্বামীর ব্যবহারে চরম ক্ষোভ অভিভাবকদের। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী তসলিমা খাতুনের বাড়ি থেকেই এই সেন্টার চলে।এদিন নির্দিষ্ট সময়ে অভিভাবক এবং শিশুরা কেন্দ্রে এলে দেখতে পান দরজা বন্ধ। তারা ঢুকতে চাইলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর স্বামী তেড়ে মারতে আসে এবং দুর্ব্যবহার করে।খাবার দিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। অভিভাবকদের আরো অভিযোগ এমনটা ঘটনা প্রথম নয়। দৈনন্দিন এই ভাবেই চলছে এই সেন্টার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দেখাতে থাকে অভিভাবকরা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। যদিও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর দাবি বাচ্চা ছাড়া খাবার দেওয়ার নিয়ম নেই। তারা সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে সেন্টার চালান। তার স্বামীর পাল্টা অভিযোগ তাকে এক অভিভাবক গালিগালাজ করে ছিল বলে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। প্রসঙ্গত এই এলাকায় একাধিকবার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিভিন্ন অভিযোগ সামনে আসছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

6 − three =