অন্তঃস্বত্তা গৃহবধুর পেটে লাথি,থানায় অভিযোগ দায়ের
রাতের অন্ধকারে বাড়িতে চড়াও হয়ে এক অন্তঃস্বত্তা গৃহবধুর পেটে লাথি মারা কে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো।ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার অন্তর্গত দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বনবিবিতলা এলাকায়।রাতেই ওই গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকজন ক্যানিং থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে এলাকায় লোকনাথ পুজো ও জামাইষষ্টী উপলক্ষে বাপের বাড়িতে এসেছিলেন মৌসুমী সরদার ও মহুয়া সরদার। গত ৪ জুন এলাকায় লোকনাথ পুজো উপলক্ষ্যে এলাকায় ড্যান্স হাঙ্গাম চলছিল।অনুষ্ঠান দেখে রাতে বাপের বাড়িতে ফিরছিলেন গৃহবধু মৌসুমী সরদার।রাতের অন্ধকারে ওই গৃহবধুকে এলাকার কয়েকজন শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ।এমন ঘটনার প্রতিবাদ করেন ওই বধুর বাবা প্রশান্ত সরদার। অভিযোগ তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।সেই রাতের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়।মঙ্গলবার রাতে পাড়ার কয়েকজন যুবক আবারও কটু মন্তব্য করে গৃহবধু মৌসুমী সরদারের বোন মহুয়া সরদার কে।কটু মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন তিনি। অভিযোগ প্রতিবাদ করতেই বাড়িতে চড়াও হয়ে মাটি ফেলে অন্তঃস্বত্তা গৃহবধুর পেটে একের পর এক লাথি মারে কেষ্টা, কৃষ্ণপদ,চয়ে,কয়ে,ফেলা ও দুলাল নস্কররা।মারধরের হাত থেকে মেয়েকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায় অসীমা ও প্রশান্ত নস্কররা। অভিযোগ তাদেরকে ও বেধড়ক মারধর করা হয়।এমনকি জামাই দিবাকর হালদারকে ও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হয়ে পড়েন অন্তঃস্বত্তা গৃহবধু মহুয়া হালদার(সরদার)। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানেই বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই বধু। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতেই ক্যানিং থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন অন্তঃস্বত্বা গৃহবধুর বাবা প্রশান্ত সরদার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।