অপহরণে তিন দিন পরেও খোঁজ নেই নিখোঁজ ছাত্রীর।
নবম শ্রেণিরএক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে, ওই কিশোরী যুব তৃণমূল নেতার ভাইঝি।কিশোরীকে বিজেপির কর্মীরা অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই এলাকায় ওই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কিশোরীকে বিহারে পাচার করা হয়েছে বলে ঐ ছাত্রীর পরিবারের তরফ থেকে ১৩ জনের নামে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এমনকি বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতির মদতেই তাকে খারাপ উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে কিশোরীকে অপহরণের ওই ঘটনায় জড়িয়েছে রাজনীতিও। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও অহরণের তিনদিন বাদেও কিশোরীর কোনও হদিশ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই ঘটনায় অযথা বিজেপির বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা। গোটা ঘটনাকে ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক তরজা।
পুলিশ ও অপহৃতা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। বিকেল গড়ালেও সে বাড়ি ফেরেনি। এরপর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করলেও তার হদিশ পায়নি। পরিবারের দাবি, পরে তারা জানতে পারেন যে, কিশোরীকে ব্যাঙ্কের সামনে থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় বরুই এলাকার ১৩ জন জড়িত বলে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তারা সকলেই বিজেপির করেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতি হিমাংশু দাসের। যদিও তার নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।