অবশেষে জয়ের ট্রফি আর্জেন্টিনার হাতে ।
১৯৯৩ সালে শেষবার কোপা আমেরিকা কাপ জয় করেছিল অ্যালবেসেলেস্তের দল। ২০১৪ সালে এই মারাকানা স্টেডিয়ামেই জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিলেন মেসিরা। সেই ক্ষত আজও দগদগে। অবশেষে আজ কাঙ্খিত জয়টা পেয়ে গেল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের জয়সূচক গোলটা করেন অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া।মারাকানা স্টেডিয়ামে আয়োজিত কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২২ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। আজ লিও স্কালোনির দলে পাঁচটি পরিবর্তন দেখা যায়। সব থেকে বড় ট্রাম্প কার্ড ছিল অ্যাঙ্গেল দি মরিয়া। এতদিন ধরে যে অ্যাঙ্গেল দি মারিয়াকে দ্বিতীয়ার্ধেরও কিছুক্ষণ পরে মাঠে নামাচ্ছিলেন, আজ তাঁকেই দলের প্রথমার্ধে দেখতে পাওয়া গেল। সেইসঙ্গে বেড়ে যায় আর্জেন্টিনার খেলার গতিও।আজ দুটো দলেই একটু বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। আর্জেন্টিনার কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যুর পর এই প্রথমবার কোনও মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলছে নীল-সাদা ব্রিগেড। এই টুর্নামেন্টে জিতে তারা যে ফুটবলের রাজপুত্রকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ৮৬ মিনিটে নেইমার একটা ফ্রি-কিক নিলেও, গ্যাব্রিয়েলের দুরন্ত একটা শট অবিশ্বাস ভাবে সেভ করে দেন গত ম্যাচের নায়ক এমি মার্টিনেজ। ৮৭ মিনিটে নিশ্চিত একটা গোল মেসি মিস করলেও, ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি এবারে হয়নি। বেশ কয়েকটা সুযোগ ব্রাজিল তৈরি করলেও শেষমেশ ৯০ মিনিটের পর সেই বাঁশির আওয়াজ শোনা গেল যেটা শোনার জন্য ২৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। এর সাথে সাথেই চোখের জলে ভেঙে পড়েন মেসি সহ সকল আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা। ম্যাচের সেরা ঘোষিত হন ম্যাচের নির্ধারিত গোলদাতা দি মারিয়া। সোনার বল এবং সোনার বুট উভয়ই যায় লিওনেল মেসির ঝুলিতে। সোনার গ্লাভস লাভ করেন প্রথম কোপা আমেরিকা খেলা এমি মার্টিনেজ। অবশেষে মেসির স্বপ্ন পূরণের ম্যাচে, চোখের জলেই মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারদের।