ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। দেশের পূর্ব প্রান্ত কলকাতা থেকে পশ্চিম প্রান্তের আমদাবাদে পৌঁছে গেলেন শ্রেয়স আইয়াররা। সোমবার সামনে প্রাক্তন এক নাইট তারকার দল। শুভমন গিলের গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ কেকেআরের (GT vs KKR)।
কেকেআরের প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তবে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম দুইয়ের মধ্যে থাকা নিশ্চিত হয়ে যাবে, যদি সোমবারও ম্যাচ জেতে কেকেআর। সেক্ষেত্রে প্রথম দল হিসাবে চলতি আইপিএলে ২০ পয়েন্টে পৌঁছে যাবেন নাইটরা। একমাত্র রাজস্থান রয়্যালস ছাড়া আর কোনও দলই কেকেআরকে ধরতে পারবে না। তাই মহার্ঘ ২ পয়েন্টের লক্ষ্যেই ঝাঁপাতে চাইবে কেকেআর।
কেকেআরের অন্যতম সেরা শক্তি ব্যাটিং। প্রথম চারটি উইকেট পার্টনারশিপের প্রত্যেকটিতে তিনশোর বেশি রান যোগ হয়েছে। আইপিএলের ইতিহাসে যা কেকেআরের প্রথম। ১২ ইনিংসের মধ্যে ৬বার দুই ওপেনার সুনীল নারাইন ও ফিল সল্ট পঞ্চাশ বা তার বেশি রান যোগ করেছেন। ওভার প্রতি ১২.৪৬ করে রান তুলছেন তাঁরা। তবে কেকেআরের কাছে বিরাট ধাক্কা হবে, কারণ সল্টকে আইপিএলের চূড়ান্ত লগ্নে পাওয়া যাবে না। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে যোগ দিতে হবে তাঁকে। সল্টের পরিবর্ত খোঁজার কাজও শুরু করে দিতে হবে মেন্টর গৌতম গম্ভীর, কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে। আর এ ব্যাপারে সেরা বিকল্প হতে পারেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ়। আফগান উইকেটকিপার-ব্যাটার গত আইপিএলে কেকেআরের হয়ে ইনিংস ওপেন করছিলেন। বেশ কয়েকটি নজরকাড়া ইনিংসও খেলেছিলেন। তবে এবার ফিল সল্টের কাছে জায়গা হারান। সল্টের অভাব ঢেকে দিতে পারেন সেই গুরবাজ়ই।
তবে শুধু টপ অর্ডার ব্যাটিংই নয়। কেকেআরের সম্পদ চার ব্যাটারের স্ট্রাইক রেটও। রামনদীপ সিংহ, আন্দ্রে রাসেল, সল্ট ও নারাইন – চারজন ১৮০-রও বেশি স্ট্রাইক রেটে ১০০ বা তার বেশি রান করেছেন। একমাত্র সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছাড়া যে কৃতিত্ব আর কোনও দলের নেই। সঙ্গে দুরন্ত ছন্দে চার বোলার – বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা, নারাইন ও রাসেল। প্রত্যেকেই ১৫ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন।