একে বিধায়ক। তার উপর নিজের রয়েছে পাকা বাড়ি। তা সত্বেও আবাস যোজনার তালিকায় রীতিমত জ্বলজ্বল করছে বিধায়ক জায়ার নাম। আবাস যোজনার তালিকায় বিধায়ক জায়ার নাম রয়েছে শুনে চক্ষু চড়কগাছ এলাকার মানুষের। আবাস যোজনায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে যখন রাজ্য জুড়ে শাসক দলকে কাঠগোড়ায় তুলে তুলোধোনা করছে বিজেপি তখন তালিকায় বিজেপি বিধায়ক জায়ার নাম সামনে আসতেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এই তালিকাকে হাতিয়ার করে যোগ্য জবাব দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃনমূলও।
আবাস যোজনার তালিকায় এতদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছিল শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের নাম। সেই নামগুলিকে দৃষ্টান্ত করে শাসক দলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের। তবে এবার বাঁকুড়ার সোনামুখী বিধানসভা এলাকার আবাস যোজনার তালিকায় যার নাম দেখা গেল তাতে বেশ কিছুটা অবাক হতে হয় বৈকি। সোনামুখী ব্লকের সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে সোনামুখী বিধানসভার খোদ বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামীর স্ত্রী প্রতিমা ঘরামীর নাম । জানা গেছে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়কের বাড়ি পুর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের পলশুড়া গ্রামে। সেই গ্রামে তাঁর নিজস্ব পাকা বাড়িও রয়েছে। সম্প্রতি আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় সেই তালিকায় নাম রয়েছে বিধায়কের স্ত্রী প্রতিমা ঘরামীর নাম। যোগ্যদের ছেড়ে হঠাৎ কেন বিধায়কের নাম ঢুকে পড়ল তালিকায়? বিধায়কের দাবী এই তালিকা তৈরীর জন্য ২০১৮ সালে যখন সমীক্ষা হয় তখন তাঁর পাকা বাড়ি ছিলনা। তখন তিনি বিধায়কও ছিলেন না। বাড়ির আর্থিক অবস্থাও খারাপ ছিল। সেই সূত্রেই হয়তো নাম ঢুকে পড়েছে তালিকায়। তবে বিধায়কের দাবী বিষয়টি জানার পরেই তাঁর স্ত্রী লিখিত ভাবে জেলা শাসককে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর পাকা বাড়ি রয়েছে। তাই ওই আবাস যোজনার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হোক ।
বিধায়ক যাই বলুন না কেন আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে এমন মোক্ষম অস্ত্র হাতে পেয়ে তাকে হাতছাড়া করতে নারাজ তৃনমূল। তৃনমূলের দাবী আবাস যোজনায় বিজেপি যে তৃনমূলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলছে এটাই তার যোগ্য জবাব।