আরও সাতদিন জেলেই কাটাতে হবে রোদ্দুর রায়কে।
আরও সাতদিন জেলেই কাটাতে হবে বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে। দু’টি ভিন্ন মামলায় ২০ জুন পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ ও জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাংকশাল আদালত। হেয়ার স্ট্রিট থানার পাশাপাশি এই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে বটতলা থানাতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।প্রসঙ্গত ,২০২০-এর মে মাসে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন।যেখানে দেশ, দেশের সংবিধান,সেনা এবং পুলিশকে অকথ্য গালিগালাজ করেন রোদ্দুর রায়।দেশের প্রধানমন্ত্রী,কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি।সেই ভিডিওটি ভাইরালও হয়।এই ভিডিওর প্রেক্ষিতে বটতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল।এদিন সেই মামলায় রোদ্দুরের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার দরুণ দায়ের হওয়া মামলায় তাঁর ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংকশাল কোর্ট। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন তিনি। দেড় ঘণ্টার সেই লাইভে নিজস্ব ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেন বিভিন্ন বিশিষ্টজনকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক ব্যানার্জীও। লাইভে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। অশ্রাব্য শব্দ প্রয়োগ করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সারাধণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও। যার জেরে গত ৩ জুন রোদ্দুরের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় এফআইআর করেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। এফআইআরে অভিযোগকারী জানিয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন রোদ্দুর রায়। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। পুলিশের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেই মতোই লালবাজার থেকে একটি দল পৌঁছায় গোয়ায়। আর তাঁকে গ্রেপ্তার করে কলকাতায় আনেন লালবাজারের পুলিশ আধিকারিকরা।