আরামবাগে সহকর্মির গুলিতে নিহত সেনা কর্মি, শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
আরামবাগ পৌরসভা নির্ভয়পুর হাটিপাড়ার গৌরীশংকর হাটি ২০০৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।বর্তমানে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে পোস্টিং ছিল তার।সেখানেই দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। রবিবার ডিউটি করে ফিরে রাতে তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিলেন।সেন্ট্রির দায়িত্বে থাকা লোকেশ নামে এক সেনা জওয়ানের গুলিতে গৌরীশংকর ও আর এক সেনা জওয়ান সূর্যকান্তর মৃত্যু হয়।জানা গেছে সারাদিন কাজের শেষে যখন সেনা জওয়ানরা ঘুমিয়ে ছিলেন রাত দুটো নাগাদ হঠাৎ করে লোকেশ তার রাইফেল থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সেনা কর্মিকে পরে গ্রেফতার করা হয়।ছেলের মৃত্যুর সংবাদ এসে পৌঁছনোর পর আরামবাগে গৌরীশংকরের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। গৌরীশংঙ্করে মা রমা হাটি জানিয়েছেন,ছেলের খুব আগ্রহ ছিল সেনায় যোগ দেবার।মাধ্যমিক পাশ করার পর থেকে চেস্টা শুরু করে।১৮ বছরে চাকরি পায়। ঘুমন্ত ছেলেটাকে গুলি করে মেরে ফেলল। বাবা শান্তি হাটি বলেন,ওরা ছয়জন একসঙ্গে ডিউটি করে ফেরে।দুজন অফিসার ছিল।দুজন সেনা তাবু পাহাড়ায় থাকে।তাদের মধ্যে এক জন গুলি চালায়।
জানা গেছে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের পর দেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামীকাল নিহত সেনা জওয়ানের দেহ আরামবাগে নিয়ে আসা হবে।