আসামিকে ছাড়িয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃনমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের বাগদা পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতির বিরুদ্ধে জেলা সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ জানাল প্রতারিত পরিবার।অভিযোগ অস্বীকার সভাপতির
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার হরিহরপুর এলাকার বাসিন্দা আজমিরা মন্ডল বনগাঁ জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গোপাল শেঠের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ,ইংরেজি ১৭ ই এপ্রিল রাতে তার বাড়িতে বাগদা থানার পুলিশ হানা দিয়ে তার স্বামী আতিয়ার মন্ডলকে তুলে নিয়ে আসে। পরের দিন সকালে স্থানীয় নাসির বিশ্বাস নামে এক যুবকের কাছে আজমিরা মন্ডল ও তার ছেলে গেলে নাসির বিশ্বাস বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের কাছে নিয়ে যায়। গোপা রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ।না নিয়ে এলে স্বামীকে মাদক মামলায় ভাসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।এরপরই ১ লক্ষ টাকা গোপা রায়ের হাতে দেয় ওই পরিবার। তা সত্বেও তার স্বামী আতিয়ার মন্ডলকে কেস দিয়ে কোর্টে পাঠনো হয়। নাসির বিশ্বাস বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের সাগরেদ বলেও দাবি করেছেন অভিযোগকারী ।তারা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তারা দীর্ঘদিন যাবত তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থাবান। নগদ অর্থ যাতে তারা ফেরত পেতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়ে জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
আতিয়ার মণ্ডলের ছেলে জসীম উদ্দিন মন্ডল জানান, সে এবং তার মা নাসির বিশ্বাস ও গোপা রায়ের কাছে নগদ টাকা দিয়েছিল। টাকা ফেরত চাইতে গেলে নাসির বলেছে ‘পারলে আদায় করে নিস।’
যদিও গোপা রায়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন তিনি কিছু জানেন না। বাগদাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই অভিযোগ বলে দাবি করেন তিনি।তিনি বলেন,পুলিশ তদন্ত করে দেখুক যদি দোষী হই সাজা মাথা পেতে নেব।
এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে একটি অভিযোগ এসেছে,আমি সেটা সঠিক কিনা তদন্ত করতে সঠিক দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছি।