ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পরদিনই অখিলেশের বাড়িতে অভিষেক। এদিন সকালে অখিলেশ যাদবের বাড়িতে পৌঁছে যান অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন ডেরেক ও’ ব্রায়েন। নিজে বেরিয়ে এসে তাঁদেরকে স্বাগত জানান সপা প্রধান। নিয়ে যান বাড়ির ভিতর। তারপর বৈঠক সারেন দুই নেতা। কিছুক্ষণের জন্য বৈঠক হয় দুজনের। কয়েক মিনিটের বৈঠক! তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে যান অভিষেক। যদিও বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউ-ই। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, এটা নিছক সৌজন্য় সাক্ষাৎ। তবে বুধবারের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পরদিন সকালেই অখিলেশের বাড়িতে অভিষেকের যাওয়া নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
উল্লেখ্য, এবার লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে ৭ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতে রেকর্ড করেছেন অভিষেক। কলকাতা শহরের অনেক জায়গায় ‘গেম চেঞ্জার দাদা’ বলে পোস্টারও পড়েছে। ইন্ডিয়া জোটের ক্ষেত্রেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ অভিষেক। জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য অভিষেক। গতকাল ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে রাহুল-অখিলেশের সঙ্গে প্রথম সারিতেই ছিলেন অভিষেক। প্রশংসা কুড়ান বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল সাফল্যের জন্য।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতেই গতকাল দিল্লি উড়ে যান অভিষেক। মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের পাশে আছি। তবে আমি ডাকলেই যেতে পারব না। কাল অভিষেক যাবে। আমার অনেক কাজ আছে।” এরপর গতকাল দিল্লি উড়ে যাওয়ার পথে মোদী-বিজেপিকে বেনজির আক্রমণ করতে দেখা যায় অভিষেককে। অভিষেক বলেন, “যারা ৪০০ পার বলেছিল, তাদের অবস্থা কি হয়েছে, দেশের প্রমাণ করে দিয়েছে। এখন বিজেপি নেতারা জবাব দিন।” পাশাপাশি রামমন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকেও বিঁধেছেন অভিষেক। বলেন,”রাম প্রতিষ্ঠা করার তুমি কে? তুমি তো নিজেই ওখানে হেরে গিয়েছ। মানুষ কিং মেকার।”