ইয়াস পরবর্তী সুন্দরবনে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ, আতঙ্কে সুন্দরবনবাসী।
ইয়াশ ও ভরা কোটাল পরবর্তী সুন্দরবনের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর।আতঙ্কে সুন্দরবনবাসী।এবার তাদের নতুন আতঙ্ক বিষধর সাপ।লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে একাধিক বিষধর সাপ।ঠিক এক মাস আগে ইয়াশ ও ভরা কোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে জলবন্দি হয়েছিল বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ১ ও ২নং ও হাসনাবাদ ব্লকের একাধিক এলাকা। কিন্তু সেখানে এখন নতুন আতঙ্ক সুন্দরবনের বিরল প্রজাতির বিষধর সাপ।গত দুই সপ্তাহে সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১০-১২টি বিষধর সাপ উদ্ধার হয়েছে।মামুদপুর, খুলনা, সাহেবখালি, রূপমারি ও সামশেরনগর সহ সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় বাঁধ ভেঙে বা কোথাও বাঁধ উপচে নদীর নোনা জল ঢুকেছে। যার জেরে বেজায় সমস্যায় পড়েছে সুন্দরবনের ফণিধররা।তাদের বাসস্থানে এখন নদীর নোনা জল।বাসস্থান নেই,খাদ্যসংস্থান নেই।তাই প্রাণের তাগিদেই বিষধর সাপরা ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে।বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনে মূলত কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া ও কালাচ সাপগুলি পাওয়া যায়।পাশাপাশি একেবারে বিরল প্রজাতির শাঁখামুটি ও শঙ্খচূড় সাপও এখানে দেখা যায়।ফলত বেজায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সুন্দরবনবাসীরা। যদিও বসিরহাট বনদপ্তরকে খবর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বনদপ্তর সেগুলিকে উদ্ধার করে সঠিক চিকিৎসার পরে আবার তাদেরকে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা কমিটির সদস্য রঞ্জিত মুখার্জী জানান, বিষধর সাপ গুলি মূলত নিজেদের বাসস্থান হারিয়ে লোকালয়ে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছে। তাদেরকে মেরে ফেললে চলবে না। এদের জন্যই সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় থাকে। এদেরকে মেরে ফেললে পরিবেশের ক্ষতি। সাপের কামড়ে যাতে কোনো রকম মৃত্যু না হয়,তার জন্য ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা। ইতিমধ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে অ্যান্টি ভেনাম সিরাম পৌঁছে গিয়েছে। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ৩ শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, প্রত্যন্ত সুন্দরবনের ইয়াশ কবলিত যোগেশগঞ্জ, হিঙ্গলগঞ্জ, খুলনা ও সন্দেশখালির সব গ্রামীণ হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি সিরাম ভেনাম মজুদ রাখা হয়েছে যাতে সর্পাঘাতে কারোর কোনো রকমভাবে মৃত্যু না ঘটে