রিপোর্ট: দেবপ্রিয়া দত্ত।
একুশের মহাযুদ্ধের আগেই মুকুলের অবস্থানেই কি শুভেন্দু?
রাজনৈতিক মহলের একাংশের স্মৃতিতে আজ ভেসে উঠছে একটাই নাম “মুকুল রায়”।সাল ২০১৫।সারদা কাণ্ডে মুকুল রায়কে তলব করে সিবিআই।আর এই তলবের পর থেকেই মুকুল রায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের।এরপর থেকে একে একে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় মুকুল রায়কে,এমনকি নিরাপত্তা রক্ষীও সরিয়ে নেওয়া হয় তার।নন্দীগ্রাম ঢোকার মুখেও আটকানো হয় মুকুল রায়কে।ক্রমশ যে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে তার দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল তা বলার অবকাশ রাখে না। নিজে মুখে সেই কথা বারবার অস্বীকার করলেও রাজনৈতিক সমীকরণ কিন্তু তাই ঈঙ্গিত দেয়।দলে থেকেও দলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা কিংবা নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অস্বীকার সমস্ত কিছুই লক্ষ্য করা যায়।সেসময় রাজনৈতিক মহলের একাংশের মধ্যেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে তিনি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন।কিন্তু ২০১৬ বিধানসভা ভোটের আগে মুকুল রায় এর সাথে দলের আবারও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।এভাবে সুসম্পর্ক বজায় থাকলেও ২০১৭ তে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটে এবং মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করেন।আর এসব কথা স্মৃতিতে রেখেই আজ শুভেন্দু অধিকারীকেও তাই মূল্যায়ন করছেন রাজনৈতিক মহলের অধিকাংশ মানুষই।তাই এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও শুভেন্দুর দৌলতে রাজনৈতিক সমীকরণ যে পাল্টাবে না তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না খোদ দলের লোকজনই।সামনেই একুশের বিধানসভা ভোট।আর সেই ভোটকে পাখির চোখ করেই যখন সব দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই সেখানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর মনোভাব কতটা তৃণমূলের পাল্লা ভারী করবে কিংবা আদতেও শুভেন্দু তৃণমূলে থাকছেন নাকি বিজেপির দিকে ঢোলছেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।