জামাইবাবুর বাড়ি থেকে নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার,ব্যাপক চাঞ্চল্য নদিয়ার ধানতলা থানার শংকরপুর গ্রামে।
গাংনাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা নবম শ্রেণীর ছাত্রী ওই নাবালিকা শংকরপুরে চড়ক মেলা উপলক্ষ্যে তার পিসতুতো দিদির বাড়ি যায়।জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে চড়কের মেলা চলাকালীন বাসুদেব সন্ন্যাসী নামে তার জামাইবাবুর বাড়ি থেকে নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।গাংনাপুর থানা এলাকায় মৃত নাবালিকার বাড়ি।নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাবালিকার বাড়ির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।ধৃতদের নাম বাসুদেব সন্ন্যাসী,মলয় সন্ন্যাসী, সুপর্ণা মৈত্র এবং তিথি মণ্ডল।ধৃত ব্যক্তিদের শনিবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।তবে অভিযুক্তদের বাড়ির তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটি নিছকই একটি আত্মহত্যার ঘটনা।চড়ক মেলা চলাকালীন মৃত নাবালিকা মদ্যপান করেছিল বলে সূত্রের খবর। তাইজন্য তার পিসি সুপর্ণা মৈত্র তাকে বকাবকি করে,সামান্য মারধর করে।এরপর ওই নাবালিকাকে একটি ঘরে থাকার পরামর্শ দেয় এবং বাইরের দিক থেকে গ্রিলে তালা দিয়ে দেয়। এরপর গ্রিল খোলার পর দেখা যায় ওই ঘরের দরজা ভেতর দিয়ে বন্ধ। দরজা ভেঙে দেখা যায় ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নাবালিকা।এরপর রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গতকাল ওই নাবালিকার পোস্টমর্টেম হলেও নির্যাতিতার বাড়ির পক্ষ থেকে পরবর্তীতে আবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়বার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ধানতলা থানার পুলিশ। এদিন ঘটনাস্থলে যান রানাঘাট পুলিশ জেলার এসপি সায়ক দাস।