এক বছর পরেও দগদগে আম্ফানের ক্ষত,ত্রিপল টানিয়ে নদীর পাড়ে বাস সুন্দরবনবাসীর।
দুবছর ধরে করোনার সাথে লড়াই করছে বিশ্ব তথা বাংলা। সালটা ২০২০,করোনা মহামারির সাথে দোসর হয়ে এসেছিল বিধ্বংসী ঝড় আম্ফান।চলতি বছরেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে দোসর ঘূর্ণিঝড় যশ। বিগত বছরের ২০শে মের রাতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ দেখেছিল এক বিভীষিকাময় রাত।সুন্দরবনের উপকূলে ১২০কিমি বেগে আছড়ে পড়েছিল সুপার সাইক্লোন আম্ফান।সুন্দরবনের একাধিক জেলায় আজও দগদগে ঝড়ের ক্ষত।ওই রাতেই ঝড়ের দাপটে প্রাণহানি ঘটে কিছু মানুষের।পরের দিন সকালে ঝড় থামলে আশ্রয়স্থল থেকে ফিরে মানুষ দেখে তাদের চেনা বসতি যেন এক ধ্বংসস্তূপ।চলতি বছরের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আবার ঝড় যশের ভ্রুকুটি।আম্ফান পরবর্তীতে সরকারের থেকে প্রাপ্ত ত্রিপলে কোনরকমে সাপ ও পোকা মাকড়ের সঙ্গে সহাবস্থানে দিন কেটেছে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের।প্রশাসনের তৎপরতায় আম্ফানের দগদগে স্মৃতিকে সাথে নিয়ে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে রওনা দিচ্ছে ফ্লাড রেসকিউ সেন্টারের দিকে।ভগবানের কাছে পূর্বের স্মৃতি আর যেন ফিরে না আসে একটাই প্রার্থনা করছে সুন্দরবনবাসী।যশ আসছে,তবুও নদীর বাঁধের পাশে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পরিবার আবার কি সেই আম্ফানের মত যশের ধ্বংসলীলার চিত্র চোখের সামনে ফুটে উঠবে সেই আতঙ্ক গ্রাস করছে নদীর পারে বসবাসকারী দাস পরিবারের।