এখনও মানুষ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন,যার ফলে প্রাণ গেলো এক শিশুর ?
বাসন্তী থানার দু’নম্বর রানীগড় গ্রামের জয়দেব বর্মনের তিন বছরের এক রতি শিশু কন্যা ঋতু বর্মন খাওয়া-দাওয়া করে বাবা মার সঙ্গে যখন ঘুমাচ্ছিল ঘুমের ঘোরে কখন তাকে যে তাকে সাপে কামড়ায় পরিবারের কেউ বুঝে উঠতে পারেনি। এরপর ঘন্টা খানিক পড়ে যখন ছোট্ট শিশুটি ঘুমের ঘোরে দমের কষ্টে জেগে ওঠে তার পরিবার তখনও কিন্তু বুঝে উঠতে পারেনি, মাথার ধারে শুয়ে আছে বিষধর কালাজ সাপ। এরপর যখন বুঝতে পারল তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন সঙ্গে সঙ্গে তারা নিয়ে যায় স্থানীয় এক ওঝার কাছে যেখানে ওঝার বিভিন্ন কেরামতির পর অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে পাঠানো হয় বাসন্তীর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে সেখানে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে তৎক্ষণ চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।এর পর অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় বাসন্তী হাসপাতাল থেকে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। তবে চিকিৎসক জানিয়েছে সব শেষ হাসপাতালে আনার আগেই। শোকেরছায়া নেমে এসেছে শিশুর পরিবারে। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন ঠিক সময় যদি তারা হাসপাতালে নিয়ে আসতো হয়তো ছোট্ট একরতি ঋতু বর্মনকে বাঁচানো যেতে বলে মনে করেন। এখনো যে মানুষ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন সেটা বারবার কিন্তু ভেসে উঠছে। তবে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন গ্রামেগঞ্জে বিভিন্নভাবে সাপে কামড়ালে বোঝা গুনিন এর কাছে না নিয়ে সোজা হাসপাতালে নিয়ে আসতে। তবে এখনো যে গ্রামের দশ শতাংশ মানুষ অসচেতন সেটাও কিন্তু তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন। তবে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য ক্যানিং থানার পুলিশ নিয়ে যায়।