২০১৭ সালের বন্যা ত্রানের দুর্নীতির তদন্তের দাবি চেয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেসের নেতা কর্মী ও বঞ্চিত উপভোক্তারা।বৃহস্পতিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় তিন শতাধিক কংগ্রেসের নেতাকর্মী কড়িয়ালি বাজারে রাস্তায় নেমে হাতে প্লেকার্ড নিয়ে এই বিক্ষোভে সামিল হয়। তাদের অভিযোগ,২০১৭ সালের বন্যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বঞ্চিত রেখে তৃনমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান,উপ প্রধান,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও কর্মাধ্যক্ষ সহ তাদের পরিবারের সদস্যদের একাউন্টে ৭০ হাজার করে একাধিক বার টাকা ঢুকেছে।সরকারি কর্মচারীদের একাউন্টেও ঢুকেছে সেই টাকা।হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের টাকা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের উপভোক্তারা পেয়েছে।এমনকি বিহারে তৃনমূল নেতাদের আত্মীয়ের একাউন্টেও সেই টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ।২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর একাউন্টের তথ্য চেয়ে সরকারি দপ্তরে ৪০ বার আর টি আই করেও কোনো তথ্য পাওয়া পাওয়া যায়নি।তালিকার দাবিতে প্রায় পাঁচ মাস আগে ব্লকের সামনে ধর্নায় বসে বাম- কংগ্রেস। একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিডিও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নামের তালিকা দিলেও কিছু অসংগতি দেখা যায়।একাউন্ট ও আই.এফ.এস.সি কোড নম্বর মুছে দেওয়া হয়।বিডিওর দেওয়া ৯০৩ পাতার তালিকায় দেখা যায় পঞ্চায়েত সমিতির ২৬ জন সদস্য ও তার পরিবারের নামে একাধিক বার টাকা ঢুকেছে।এই তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ প্রধানের নামও বাদ পড়েনি।এই মর্মে বাম কংগ্রেস কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে।আজ রয়েছে প্রথম শুনানি।
উল্লেখ্য,২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের ৯ টি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।রাজ্য সরকার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে তেত্রিশ শো ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সত্তর হাজার করে টাকা দেওয়ার জন্য তিন ধাপে প্রায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি না পেয়ে বেশিরভাগই টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা।সরকারি আধিকারিকদের যোগসাজশে এই কর্মকাণ্ড বলে অভিযোগ।
চাঁচল মহকুমা শাসক কল্লল রায় জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকে তদন্ত শুরু হয়েছে ,২ নং ব্লকেও তদন্ত শুরু হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − ten =