এ যেন শিক্ষার জয় !মাত্র ১ জন ছাত্রের ইচ্ছার মান্যতা দিয়েই এমনই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো নদিয়ার এই বিদ্যালয়ে,শিক্ষকদের পরিশ্রমের মান্যতা দিলো ছাত্র।

কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় ! মনের প্রবল চাহিদা থাকলে তা হাতের মুঠোয় এসে উপস্থিত হয়।প্রবাদ বাক্যগুলো হয়তো এ ধরনের বেশ কিছু ঘটনার জন্যই আজও প্রাসঙ্গিক। এরকমই এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো নদীয়ার শান্তিপুরবাসী।যেখানে দেখা গেল শান্তিপুর তো বটেই, এবং শান্তিপুরের আশেপাশে বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে উচ্চশিক্ষার জন্যে স্ট্যাটিস্টিক নামের কোন বিষয় নেই।আর সেই বিষয় না থাকার ফলে হীনমন্যতায় ভুগছিল এক ছাত্র সাম্যরাজ সাহা।

ছোটবেলা থেকেই তার স্ট্যাটিসটিক্স বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং উচ্চশিক্ষা লাভ করার ইচ্ছে ছিল। অথচ সেই বিষয় নিয়ে পড়ার জন্য তখনও পর্যন্ত ছিলনা কোনও ব্যবস্থা। যদিও ২০১৯ সালের শিক্ষানীতির ফলে বিভিন্ন জীবন জীবিকার পেশা নতুন করে যুক্ত হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের মধ্যে। শুধুমাত্র ইতিহাস,ভূগোল, বাংলা, অংক ,বিজ্ঞান এই সমস্ত গতানুগতিক বিষয়গুলিতে পড়াশোনা আর সীমাবদ্ধ নেই। ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানে নিতে পারে ভোকেশনাল, অটোমোবাইল, পামব্লার ,হোটেল ম্যানেজমেন্ট, জার্নালিজমের মতো একাধিক নতুন বিষয়।যাতে তাদের ভবিষ্যতে খুলে যায় পড়াশোনা ও উপার্জনের একাধিক রাস্তা।

তবে সমস্ত বিষয়গুলি সমস্ত বিদ্যালয়গুলিতে এখনও পর্যন্ত উপলব্ধ নয়। তবে নদীয়ার শান্তিপুরের এম এন উচ্চ বিদ্যালয়ে স্ট্যাটিস্টিক সাবজেক্ট না থাকলেও শুধুমাত্র এক ছাত্রের আগ্রহে শিক্ষক মহলের প্রচেষ্টায় তা মঞ্জুর করানো হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরে লেখালেখির পর বিষয়টি বিদ্যালয়ে আনার জন্য অনুমতি পত্র মেলে। এরপরেই শুধুমাত্র একজন ছাত্রই এই বিষয়ে ভর্তি হয় যার নাম সাম্যরাজ সাহা। তবে গোটা শ্রেণিকক্ষে সে বসে থাকে একাই স্ট্যাটিস্টিক বিষয় পড়ার জন্য এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি স্ট্যাটিস্টিক বিষয়তেও যথেষ্টই কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়ছে সে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × five =