ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গত ১২ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ত্রিপুরা ঊনকোটি জেলা কৈলাশহরের কুবঝার এলাকায় পুলিশ এবং মিছিলকারীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধে ১৮ জন পুলিশ কর্মী ও ৭৩ জন মিছিলকারী জখম হয়েছিল। এরপর থেকে কৈলাসহর মহকুমায় থমথমে পরিবেশ বজায় করছে। গোটা কৈলাশহর মহকুমায় বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। জানা যায় ঘটনার সাথে সাথেই সেদিন ঘটনাস্থলে ডি.আই.জি রতি রঞ্জন দেবনাথ, ঊনকোটি জেলার পুলিশ সুপার সুধামবিকা আর সহ অন্যান্য আধিকারিকরা এসেছিলেন। এমতাবস্থায় কৈলাসহরে আসেন ত্রিপুরা পুলিশের ডি.জি অনুরাগ ধ্যানকর। আগরতলা থেকে উনি সোজা চলে আসেন কৈলাশহর থানায়। কৈলাশহর থানার ওসির চেম্বারে এক বৈঠকে মিলিত হন তিনি। বৈঠকে ডি.জি অনুরাগ ধ্যানকর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডি.আই.জি রতি রঞ্জন দেবনাথ, ঊনকোটি জেলার পুলিশ সুপার সুধামবিকা আর, ডি.এস.পি প্রসেনজিৎ নট্ট, কুমারঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কমল দেববর্মা, কৈলাসহর থানার ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরী সহ আরও অন্যান্য আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে ডি.আই.জি রতি রঞ্জন দেবনাথ জানান যে, গত ১২ এপ্রিল শনিবারের ঘটনার পর কৈলাসহর সহ গোটা ঊনকোটি জেলায় শান্তির পরিবেশ রয়েছে। ঘটনার পর কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আর ঘটেনি। তাছাড়া ঊনকোটি জেলার মানুষ বরাবরই শান্তিপ্রিয়, উনারা অশান্তি ভালোবাসেন না। ঘটনার পর ডি.জি অনুরাগ ধ্যানকর কৈলাশহর থানায় এসেছেন এটা উনি প্রত্যেক দিনের মতো ভিজিট করেন বলেও জানান। তাছাড়া ওইদিনের ঘটনার পর কৈলাসহরে বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মজুত রাখা হয়েছে। এটা শুধু সেই ঘটনার জন্য নয়। চৈত্র সংক্রান্তি এবং পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে কৈলাসহরের বিভিন্ন জায়গায় বড়বড় মেলা হয়ে থাকে। সেজন্যই বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী আনা হয়েছে বলেও জানান ডি.জি অনুরাগ ধ্যানকর।
ভিও