“ওরা যত বেশি পড়ে, তত বেশি জানে, তত কম মানে।”কোচিং সেন্টার দখল করে তৃণমূল কার্যালয়, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আগরপাড়া।
আগরপাড়া উষুমপুর বটতলায় ডক্টর সম্মথ ঘোষ গরিব মানুষদের চিকিৎসার জন্য ঘর বানিয়েছিলেন।তার মৃত্যুর পর তার সেই ঘরে তারই সহকর্মী বন্ধু শম্ভু ঘোষ দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে পড়াতেন।সোমবার দুপুরে পানিহাটি পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর হিমাংশু দেবের ঘনিষ্ঠ যুব তৃণমূল নেতা দেবাশীষ লোধ দলবল নিয়ে পানিহাটি পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেই কোচিং সেন্টার ঘর দখল করতে যায় বলে অভিযোগ এবং কোচিং সেন্টারের ভেতর থেকে সবাইকে বার করে ঘরের উপরে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা ঝুলিয়ে দিয়ে গেটে তালা দিয়ে দেয়।সেই সময় দখলদারিতে বাধা দিতে আসলে স্থানীয় এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগও ওঠে ওই কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ নেতার বিরেদ্ধে।
এই খবর পেয়ে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শ্যামলী দেব রায় ঘটনাস্থলে আসেন এবং ঘোলা থানার পুলিশকে খবর দেন।ঘোলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।তারপর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কাউন্সিলর শ্যামলী দেব রায় গেটের তালা খুলে তৃণমূলের দলীয় পতাকা খুলে দখলমুক্ত করেন সেই ঘর এবং পুনরায় কোচিং সেন্টারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শ্যামলী দেব রায় জানান, কোনরকম অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না তার ওয়ার্ড এলাকায়।
অপরদিকে এই ঘটনা সম্পূর্ণ স্বীকার করে নিয়েছেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিমাংশু দেব।ঘটনার পর থেকে ঘটনায় জড়িত কাউন্সিলর হিমাংশু দেবের ঘনিষ্ঠ দেবাশীষ লোধ পলাতক।তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ঘোলা থানার পুলিশ।