কবরে মেয়ের মৃতদেহ ,রাতভোর পাহারায় বাবা-মা।

কবরে মেয়ের মৃতদেহ ,রাতভোর পাহারায় বাবা-মা।

আদালতের নির্দেশে ২০ দিন পরে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য নাবালিকার মৃতদেহ কবর থেকে তুললো প্রশাসন।
বসিরহাট মহকুমার মাটিয়া থানার দক্ষিণ রঘুনাথপুর ফকিরপাড়ার ঘটনা। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ১৯ তারিখে বছর ১৫ এর অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ফারহানা খাতুন নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বাবা মোহাম্মদ আলী গাজী, মা রেহানা সুলতানা বিবি কর্মসূত্রে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে থাকতেন।ছাত্রী পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিবেশীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজও করতেন।খবর আসে নাবালিকা নিজের বাড়িতে আচমকাই আত্মঘাতী হয়েছেন।স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে মাটিয়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নাবালিকার বাবা-মাকে খবর দেয়। তারপর ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
সেই মুহূর্তে মৃত্যুর ঘটনায় রহস‍্যজনক কিছু না পাওয়ায় মা ও বাবা নিজের গ্রামে মেয়ের মৃতদেহ কবরস্থ করেন।

এই ঘটনায় পরে জানা যায় এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তাকে ধর্ষণ করে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে এমনটাই অভিযোগ বাবা মোহাম্মদ আলী গাজী।সন্দেহ দানা বাঁধে বাবার অভিযোগে। অভিযো করেন বসিরহাট মহকুমা আদালতে।ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়ব্রত দত্তের নির্দেশে শনিবার সকাল বেলায় বসিরহাট ২নম্বর ব্লকের বিডিও জয়দীপ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেট , বসিরহাট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সুকদেব বিশ্বাস, মাটিয়া থানার পুলিস আধিকারিকের সামনে কবর থেকে নাবালিকার মৃতদেহ তোলা হয়। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় দেহ। নাবালিকারর মৃত্যুর ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে মাটিয়া থানায়। দুষ্কৃতীরা অধরা বলে জানা যাচ্ছে।তবে আত্মহত্যা না ধর্ষণ করে খুন, তা দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − 7 =