ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মুক্তারপুর মাঠে। ঘটনার পর হইচই শুরু হয় এলাকায়। জানাযায়, পিতৃ পর্ব থেকে পাম্প চালাতো মাফিজুলের বাবা। তার বাবার মৃত্যুর পর ডিবটিকল পাম্প চালানোর দায়িত্ব নেই ছেলে মাফিজুল। সেই মতো প্রতিদিন পাম্প চালাতো এবং রাতভর জমিতে জল নিতো কৃষকেরা। একিইরকম ভাবে ঐ পাম্পে ১১ টি পয়েন্ট রয়েছে। সবকটি পয়েন্ট চলার কারনে জল একটু কম উঠছিল। সবকটা পয়েন্ট বন্ধ করে তিন নম্বর পয়েন্ট চালানোর কথা বলে প্রতিবেশী জালালুদ্দিন মন্ডল ও তার ছেলে জুয়েল মন্ডল। বাকি কৃষকদের কথা ভেবে কিন্তু তা মানতে চাননি ঐ পাম্প চালক মাফিজুল ইসলাম। তারপরেই চক্রান্ত করে ফোন করে মাঠে গল্প করার জন্য ডাকে জালালুদ্দিন মন্ডল। তখনিই সাথে তার ভাইপোকে সাথে নিয়ে মাঠে গেলে তাকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। এমনকি ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে বলে অভিযোগ। তারপরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে আসে তার ভাইপো। এলাকায় জানাজানি হতেই মাঠে ছুটে যান স্থানীয় সহ পরিবারের লোকজন। মাঠে ধাওয়া করেই অভিযুক্ত জালালুদ্দিন মন্ডলকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। যদিও পালিয়ে যায় অভিযুক্তের ছেলে জুয়েল মন্ডল সহ জনা কয়েক দুষ্কৃতি। ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় ডোমকল সুপার ষ্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানে শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহতকে স্থানান্তর করা হয় বহরমপুর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তের মধ্যে জালালুদ্দিন মন্ডলকে আটক করে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত জালালুদ্দিন মন্ডল, তার ছেলে জুয়েল মন্ডল এবং মিনাজ মন্ডলের নামে লিখিত অভিযোগ করে আহতের পরিবার। যদিও অভিযুক্তদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে ডোমকল থানার পুলিশ।