কাজের তাগিদে দুয়ারে সরকার শিবিরে যেতে তারা অপারগ, তাই প্রশাসন পৌঁছালো তাদের দুয়ারে। শুক্রবার এমনি ছবি দেখলো মালদহের রতুয়া ২ নং ব্লকের মানুষ।উল্লেখ্য, মালদহের চাঁচল মহকুমার অন্তর্গত রতুয়া ২ নং ব্লকের পরানপুর হাই স্কুলে শুক্রবার বসেছিল দুয়ারে সরকার শিবির। রাজ্য সরকারের একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা নিতে শিবিরে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যের সমস্ত মৎস্যজীবী এবং মৎস্য সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের তথ্যভান্ডার তৈরির বিষয়ে এবার উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। গত ১ লা নভেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হওয়া ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে মৎস্যজীবীরা তাঁদের নাম নথিভুক্ত করছেন। এর জন্য প্রত্যেক ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে একটি করে আলাদা কাউন্টারও করা হয়েছে। কিন্তু মালদহের রতুয়া ২ নং ব্লকের দুয়ারে সরকার শিবিরে মৎস্যজীবীরা সেই কাউন্টারে যেতে আগ্রহী নন। একদিনের জীবিকা নষ্ট হওয়ার কারণে অনেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। মৎস্যজীবীদের বক্তব্য, আমরা দিন আনি দিন খাই। মাছ ধরাই আমাদের মূল পেশা। একদিন মাছ না ধরলে পারিশ্রমিক পাবো না। তাই কাজ ফেলে শিবিরে যাওয়া এক কথায় অসম্ভব। মৎস্যজীবীদের সেই প্রকল্পের আওতা ভুক্ত করতে জলপথে নৌকা নিয়ে ছুটলেন মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। শুক্রবার দিনভর রতুয়া ২ নং ব্লকের মির্জাত পুর, চাঁদপুর, সম্বলপুর সহ একাধিক নদী তীরবর্তী এলাকায় মৎস্য নিবন্ধীকরণ প্রকল্পের আবেদনপত্র নিয়ে জেলেদের কাছে ছুটে যান চাঁচোলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায়। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোজিৎ নস্কর, রতুয়া ২ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নিশীথ মাহাতো সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। এই দিন বিল, নদী সহ একাধিক পুকুরে নিজেদের পেশার কাছে ব্যস্ত ছিলেন জেলেরা প্রশাসনিক আধিকারিকদের দেখে কার্যত হতভম্ব তারা। জেলেদের কাছে গিয়ে মৎস্য নিবন্ধীকরণ প্রকল্পের ফর্ম প্রণয়ের পাশাপাশি তাদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন চাঁচোলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক। প্রশাসনের এমনি ভূমিকায় খুশি মৎস্যজীবীরা। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন।