মালদহের মোথাবাড়ি থানার উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাহালা গ্রামে বুধবার সাড়ে ৫টা নাগাদ মৃতের দেহ অ্যাম্বুলেন্সে পৌঁছয়। দেহ ফিরতেই গোটা কাহালা গ্রামের মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। দোষীকে উপযু্ক্ত শাস্তির দাবি করেন তাঁরা। মুম্বাই এর পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে এই ঘটনায় ওই গ্রামেরই এক পরিচিত যুক্ত থাকতে পারে। সন্দেহজনক ওই যুবককে আটক করে মুম্বইয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে ইত্তেকার শেখে(‌২০)দেহ উদ্ধার করে মুম্বই পুলিশ‌। আম্মেদকরনগরের পারিপাড়ার কাছে এক বাগানের মধ্যে তাঁর গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে সামাজিক মাধ্যমে পরিবারের লোকেরা খুনের ঘটনাটি জানতে পারে। মঙ্গলবার সকাল থেকে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। সেই মতো বুধবার সকালে বিমানে দেহ পৌঁছয় কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে সড়কপথে অ্যাম্বুলেন্সে করে মোথাবাড়ির বাড়িতে আনা হয়। গ্রামের বাসিন্দা অসীম আক্রাম জানান, ‘‌ইত্তেহাদ শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। কারোর সঙ্গে এমনিতে কোনও গন্ডগোল ছিল না। এই ধরনের ছেলে কী করে খুন হল, কিছুই বুঝতে পারছি না। ১০ -১২ দিন আগে সে মুম্বইয়ে কাজে যায়। ইত্তেহাদ কে শেষ দেখা দেখতে, এলাকার মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত,প্রায় দশ দিন আগে ভিন রাজ্যে যাওয়া বয়স কুড়ি এর যুবক এরকম গলাকাটা নৃশংস নিথর দেহ বাড়িতে ফেরা মেনে নিতে পারছে না কেউ। স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও দারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন মৃতের পরিবার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty − 13 =