পূজোর ঢাকে কাঠি পড়ার সাথে সাথেই যেন পঞ্চায়েত ভোটেরও ঢাকে কাঠি পড়ে গেল জেলাতে। সৌজন্যে শাসকদলের জনসভা। কাতারে কাতারে ভিড় মানুষের। উপস্থিত রাজ্য সভাপতি এবং মন্ত্রী। আত্ম-বিশ্বাসের সুর নেতৃত্বের গলায়।মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কিষান ক্ষেত মজদুর ইউনিয়নের জনসভাতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু, জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান, বুলবুল খান, জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন, রতুয়া বিধায়ক সমর মুখার্জী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব বৃন্দ, ব্লক সভাপতি পঞ্চায়েত প্রধান এবং সদস্যরা। হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণ বালা বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে ছিল এই জনসভা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সকলেই এসেছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে উচ্চ নেতৃত্বের বার্তা শুনতে। কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষের ভিড় এতটাই ছিল যে মাঠের জায়গা কম পড়ে গেছিল। বিদ্যালয়ের বাইরে রাস্তাতেও দাঁড়িয়ে নেতৃত্বের বক্তব্য শুনছিল বহু মানুষ। তৃণমূল নেতৃত্বের গলাতেও শোনা যায় আত্ম-বিশ্বাসের সুর। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরে নেতারা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কৃষি প্রধান এই জেলাতে কৃষকদের বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মূলত আজকের এই সভা। মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কিষাণ ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের জেলা সভাপতি তাজমুল হোসেন কিছুদিন আগেই রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী হন। যিনি আবার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকারই বিধায়ক। তাই কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উদ্দীপনা যেন একটু বেশিই ছিল। পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফলাফল করার ব্যাপারে রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসুর গলাতেও শোনা যায় আত্মবিশ্বাসের সুর। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাট চাষের সমস্যার ব্যাপারেও দেখার আশ্বাস দেন তিনি। কার্যত এই সভার মধ্যে দিয়েই যেন পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল শাসকদল।
প্রসঙ্গত মালদা জেলাতে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই নিজেদের জমি শক্ত করে তৃণমূল। বিধানসভাতেও যথেষ্ট ভালো ফল করে তারা। তবে দুর্নীতি থেকে শুরু করে গোষ্ঠীদ্বন্দ বিভিন্ন ইস্যুতে বর্তমানে বারবার বিপাকে পড়তে হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। তাই আজকের এই ভিড় স্বাভাবিক ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে অক্সিজেন যোগাবে শাসকদলকে।