ইডির পর CBI এর গরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল। পুজোর আগেই বাড়ি ফিরলেন অনুব্রত মন্ডল,সাথে তার মেয়ে সুকন্যা। ফুল ও স্লোগানের মধ্যে দিয়ে স্বাগত জানানো হলো অনুব্রতকে। বাড়ির সামনে তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো।বাড়িতে পা রাখার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নেও ছিল মমতার সুনাম তার মুখে।চেহারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে তার। এরপর বোলপুরের নিচু পট্টির বাড়িতে ফিরে নিজের চেয়ারে বসেই কেঁদে ফেললেন অনুব্রত মন্ডল। চোখে জল ছিল মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলেরও।
সকাল থেকেই অনুব্রতর নীচুপট্টির বাড়ি ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি পেলেন না চন্দ্রনাথ সিনহা ও সিউড়ির বিধায়ক। অনেকেই অনুব্রত মণ্ডলের ঘরে ঢুকতে পারলেও, সেখানে প্রবেশের অনুমতি পেলেন না এই দু’ জন। চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিকাশ রায় চৌধুরী ঢোকার সময় সরাসরি তাদের হাত নাড়িয়ে বারণ করে দিলেন খোদ অনুব্রত মণ্ডল। পরিস্থিতির জেরে দেখা না করেই ফিরে যান চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিকাশ রায় চৌধুরী।
শুধু চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিকাশ রায় চৌধুরী নয় ,অনুব্রতর সাথে দেখা না করেই ফিরতে হলো সাংসদ অসিত মালকেও।এদিন অনুব্রত মণ্ডলের সাথে দেখা করতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে এসে পৌঁছান বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল ও INTTUC জেলা সভাপতি ত্রিদীপ ভট্টাচার্য এবং মঙ্গলকোটের বিধায়ক। বেশ কিছুক্ষণ বসেছিলেন তারা। তবে শেষ মুহূর্তে ফিরে যেতে হলো তাদের। যদিও সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন,অনুব্রত খুব ক্লান্ত আজ দেখা করতে পারবেন না। তবে আগামীকাল অনুব্রত তাদের সময় দিয়েছেন সাক্ষাতের জন্য।
অপরদিকে ,অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরে প্রত্যাবর্তনের দিনেই প্রশাসনিক কাজে বোলপুরে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুব্রতর সাথে দেখা করার কথা থাকলেও জল্পনায় জল ঢেলে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই কলকাতার পথে রওনা দেন মমতা।অর্থাৎ বোলপুর গিয়েও অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করলেন না তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ৩ কিলোমিটার দূর থেকেই ফিরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে,মমতা বুঝিয়ে দিলেন, আপাতত তাঁর মূল নজর বন্যা পরিস্থিতি ও দুর্গতদের সাহায্য করা।
তবে কি অনুব্রতকে নিয়ে দলের অন্দরে নতুন সমীকরণ ,শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।