কুলতলী এলাকায় অভিযুক্ত সাদ্দাম নস্করের বাড়িতে গোপন সুরঙ্গের হদিশ পেল পুলিশ। কুলতলী এলাকায় প্রতারণা কাণ্ডের অভিযুক্ত সাদ্দাম নস্করের বাড়িতে গোপন সুরঙ্গের হদিশ পেলেও কুলতলী থানার পুলিশ। সোমবার সকালে কুলতলী এলাকায় প্রতারণা চক্রের এক অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে কুলতলী এলাকার জালাবেড়িয়া দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে পায়তার হাট এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে আটক করেছে কুলতলি থানার পুলিশ কিন্তু কুলতলী থানার পুলিশের হাতে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি করে গোপন সুরঙ্গে হদিস পেল কুলতলী থানার পুলিশ।
সোমবার বিকেলে কুলতলী থানার পুলিশ অভিযুক্ত সাদ্দাম লস্করের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় আর সেই তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় বাড়ির মধ্যে থেকে গোপন সুরঙ্গ যে গোপন সুরঙ্গ এর মধ্যে থেকে এই অভিযুক্ত কুলতলী থেকে পালিয়ে যেত জয়নগরে। পালানোর এই চোখ ধাঁধানো রাস্তা দেখে কার্যত চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় পুলিশ অফিসারদের। লোক চক্ষুর আড়াল করতে গোপন সুরঙ্গটির ওপরে একটি খাট তার ওপর বিছানা পরিপাটি করে সাজিয়ে রেখেছিল অভিযুক্ত। দেখলে কোন বোঝার উপায় নেই যে এর মধ্যেই রয়েছে সেই গোপন সুরঙ্গ। গোপন সুরঙ্গ একটি খালের নিচে থেকে সোজাসুজি জয়নগরের সঙ্গে কানেক্ট করা হয়েছে। খালের কিছু অংশে নিজস্ব জলযান প্রস্তুত রেখেছিল এই অভিযুক্ত যাতে পালানোর সময় বিন্দুমাত্র যাতে অসুবিধা না হয়।
কার্যত গোপন সুরঙ্গে হদিস পেয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিকদের অভিযুক্ত সাদ্দাম লস্করের এই পরিকল্পনা কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছে পুলিশ অফিসারদের। প্রসঙ্গত,সোমবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা কুলতলি থানা এলাকার জালাবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তারহাট এলাকায়। প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের ধরতে যায় কুলতলি থানার একটি টিম। তল্লাশি অভিযান চালানোর সময়ই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ।
যদিও, গুলি চালনার ঘটনায় কেউ আহত হননি বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত সাদ্দাম লস্কর নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার জন্য যায় পুলিশ। সাদ্দাম সোনার ঠাকুর বিক্রি করার নামে প্রতারণা করত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কেউ তাঁর কাছে ঠাকুর কেনার জন্য গেলে তাঁর সর্বস্ব লুঠ করে নেওয়া হতো। এই ভাবেই দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে লুঠপাট চালাতো একটি দুষ্কৃতীদের দল। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ছিল। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ। এখনো পর্যন্ত পুলিশ মূল অভিযুক্তকে খোঁজার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।