কেতুগ্রামে নার্সিং কর্মীর কব্জী কাটার ঘটনায় ৪ জন অপরাধীদের নিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের গৃহবধূ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করছিলেন।তিনি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।কিছুদিনের মধ্যেই তার নার্স পদে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু ‘বেকার’ স্বামীর ধারণা হয় চাকরি করতে গেলে স্ত্রী তার ‘হাতছাড়া’ হয়ে যাবে।স্ত্রী যাতে আর কোনওদিন চাকরিই না করতে পারেন তার জন্য তার হাতের কব্জি কেটে নেয় স্বামী।অভিযুক্ত স্বামী, শের মহম্মদ শেখ ওরফে সরিফুল শেখ ও শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।এরপর প্রথমে শশুর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্ধান পায় অভিযুক্ত সরিফুল সেখের।এরপর শরিফুলকে জিজ্ঞেস করে সন্ধান পায় আরও তিনজনের।এদের মধ্যে দুজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের তালগ্রামে।ভাড়াটে খুনিদের মধ্যস্থতাকারী শরিফুলের মাসির ছেলে চাঁদ মহম্মদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ১৩ তারিখ ফের পুলিশ হেফাজতে নেয় এদের।এরপর অভিযুক্ত শরিফুল ও বাকি তিন অভিযুক্তকে নিয়ে কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের রেনু খাতুন এর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করায় কেতুগ্রাম থানার আইসি।