গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য নদীয়ায়।
ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া পাড়া বাগানপাড়া এলাকার।গৃহবধূর নাম নমিতা দাস, বয়স ৪২ বছর।তার একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ মৃত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি বিরুদ্ধে। বাপের বাড়ির সদস্যরা জানান,দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তির জেরে তাদের মেয়ের সাথে অশান্তি হতো মাঝেমধ্যেই। এমনকি মৃত গৃহবধূকে তার পরিবারের লোকজনের সাথেও কোনরকম যোগাযোগ করতে দিতেন না ওই মহিলার স্বামী।শুক্রবার রাতে হঠাৎই গৃহবধূর বাবার বাড়িতে ফোন যায় ওই গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়েই বাপের বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি ছুটে আসে।ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা।গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কোনো দেখা দেখা মেলেনি।মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, নমিতা দাস নিজে থেকে আত্মহত্যা করেনি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা। আজ শনিবার মৃতদেহটি শান্তিপুর থানার পুলিশ উদ্ধার করে ও ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।কিন্তু শান্তিপুর থানাতেও ওই মৃত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কোনরকম দেখা মেলেনি।স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে।মৃত নমিতার পরিবারের একটাই দাবি, পুলিশ এর সঠিক তদন্ত করুক এবং যারা দোষী তারা যেন শাস্তি পায়।