গ্রামবাসীদের সামনেই সিঁদুর পড়িয়ে বিয়ে,এরপরেই প্রেমিক বেপাত্তা, স্বামীর বাড়ীর সামনে ধর্নায় প্রেমিকা।
পুরুলিয়ার কেন্দা থানার দড়োডী গ্রামের যুবক কলেজ পড়ুয়া নীলকমল গোপের সাথে প্রায় ২ বছরের সম্পর্ক গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত যুবতী রীনা গোপের।এই দুই পরিবার একে অন্যের আত্মীয়।কিন্তূ প্রেমিকের পরিবার এই সম্পর্ককে মেনে নিতে চাননি।তবুও হাওড়া নিবাসী কলেজ পড়ুয়া এই ছাত্র সোমবার রাত্রে প্রেমিকের ডাকে গ্রামে এসে গ্রামবাসীদের সামনে প্রেমিকার মাথায় সিঁদুর দিয়ে বিয়ে করে।বিয়ে করা বউকে নিয়ে গেলে প্রেমিকের ঠাকুমা তার বাড়ীতে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করেন এবং তাকে মারধোর করে নীলকমলের পরিবারের লোকজনের এমনই অভিযোগ।
তারপর থেকেই স্বামী নীলকমল বেপাত্তা হয়ে যায়।স্বামীর খোঁজে বাড়ীর সামনে রাতভোর ধর্নায় সদ্য বিয়ে হওয়া প্রেমিকা রীনা গোপ।সকাল থেকেই প্রেমিকের বাড়ীর লোকজনের সাথে প্রেমিকার বাড়ীর লোকজনের বচসা শুরু হয়। ন্যায় বিচার চেয়ে রীনার পরিবারের লোকজন স্থানীয় কেন্দা থানার দ্বারস্থ হন।রীনার দাদা মৃত্যুঞ্জয় গোপ লিখিত অভিযোগ করেন।তার মাসীর অভিযোগ, বিয়ে করেছে বোনজিকে নীলকমল।তারপর থেকে বাড়ীতে ঢুকতে দিচ্ছে না তার পরিবারের লোকজন।আমার বোনজিকে মারধোর করে নীল কমলের পরিবারের লোকজন।তারপর থেকে বোনজির স্বামী নীলকমল বেপাত্তা হয়ে যায়। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দা থানার পুলিশ।নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু হবে।