গ্রামে সিবিআই ঢুকলেই নিভছে বাতি, কাকতালীয় নাকি…
এ যেন একেবারে কাকতালীয় ঘটনা।বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও হাঁসখালিতে সিবিআই তদন্তের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট।গতকাল সিবিআই গোয়েন্দারা যখন তদন্তের জন্য যখন গ্রামে যান, তখন প্রায় সন্ধ্যা। সেই সময় সিবিআই গোয়েন্দারা গ্রামে থাকাকালীন মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে এলাকা অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবারও প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বিকাল ৫ টা ১৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই গোয়েন্দারা নির্যাতিতার বাড়িতে যান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান। তখনও দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। এটি কি নিছকই কাকতালীয়? নাকি অন্য কিছু?
এমন প্রশ্ন উঠছে, তার কারণও রয়েছে যথেষ্ট। বিগত দিনে এই হাঁসখালি থানা এলাকাতেই বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের সময়েও একই ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই সময়েও পরিকল্পনামাফিক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন এলাকার মানুষদের একাংশ। এবার হাঁসখালির নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সময় বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার সিবিআই গোয়েন্দারা অন্ধকারের মধ্যেই গাড়ির আলো জ্বালিয়ে তদন্ত চালিয়েছিলেন। এদিকে গ্রামে সিবিআই গোয়েন্দারা ঢুকলেই কেন বার বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, হাঁসখালির ঘটনায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার ছেলের। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে সিবিআই গোয়েন্দারা পৌঁছেছিলেন ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে। কিন্তু বাড়িতে সেই সময় কেউ ছিলেন না। তালা বন্ধ মূল দরজায়। সেই তালা ভেঙেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। সঙ্গে ছিলেন সেন্ট্রাল ফরেনসিক টিমের সদস্যরাও। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে সিবিআই ইতিমধ্যেই একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে সিবিআই ।