পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার গেস্ট হাউস থেকে থানায় ফোন আসে যে ওই গেস্ট হাউসে চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছে। অন্য গেস্টরা অভিযোগ করছে। পুলিশ যখন যায় গিয়ে দরজায় নক করে অনুশীলা বিবস্ত্র ও আহত অবস্থায় দরজা খোলে।পুলিশ ভিতরে ঢুকে দেখে ঘরের মধ্যে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় পরে রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে। অনুশীলাকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।বৃহস্পতিবার রনির পরিবার বিধান নগর দক্ষিণ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে গেস্ট হাউস এর কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে ওই দিন রাতে আরো এক যুবক এসেছিলো তাঁদের রুমে। সেই যুবকের খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায় সেই যুবক কোন্নগরের বাসিন্দা অরিজিৎ পাত্র। গতকাল তাকে ডেকে পাঠিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসা বাদ করা হয়। অবশেষে রাতে গ্রেফতার করা হয়। আজ সকালে হাসপাতাল থেকে অনুশীলাকে থানায় নিয়ে এসে অরিজিৎ ও অনুশীলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অনুশীলাকে ও গ্রেফতার করা হয়।দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিসি বিধাননগর বিশ্বজিৎ মাহাত ও এসিপি।আজ তাঁদের বিধান নগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে। রনি দত্ত অনুশীলাকে খুব ভালো বাসতো। কিন্তু অনুশীলা তাকে ব্যবহার করতো। বুধবার রাতে রনি অনুশীলা ও অরিজিৎকে আপত্তি জনক অবস্থায় দেখে ফেলে। সেটা মেনে নিতে পারে নি। এছাড়া ওই দিন দুজনে মিলে রনিকে অপমান করে। গালিগালাজ করে। সেই নিয়ে ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি হয়। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করে রনি দত্ত।
তবে এর পিছনে আরো কোনো রহস্য আছে কিনা জানতে বিধান নগর মহকুমা আদালতে তুলে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চাইবে।
অরিজিত পাত্রের দাবি, আমি কিছু করিনি। সেদিন আমি গেছিলাম ৫ থেকে ৭ মিনিট ছিলাম। সেদিন আমি লাস্ট গেছিলাম বলে আমাকে এরকম ভাবে করছে, আমি কিছু করিনি।দুই হাজার কুড়ি থেকে পরিচয় ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল।
অনুশীলার দাবি, কেন সুইসাইড করলো? অরিজিত এসেছিল বলে।আমার সাথে ওর কোন সম্পর্ক ছিল না। আমি হাত ভেঙে পড়েছিলাম অজ্ঞান হয়ে। আমি জানিনা ও চলে যাওয়ার পরে কি হয়েছে।