পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের জুনপুট রাস্তার শনি মন্দির এলাকার ঘটনা। সেখানেই বসবাস করেন চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সামন্ত ও তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও এক মেয়ে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ বাবুর ছেলে দীর্ঘদিনই ওই বাড়িতে থাকেন না। এমনকী কয়েকদিন ধরে ওই চিকিৎসকও থাকছিলেন না বাড়িতে। শুধু মেয়ে আর চিকিৎসক পত্নি ছিলেন।
এরপর রবিবার সন্ধ্যে নাগাদ পচা গন্ধ পান এলাকাবাসী। তখনই তাঁরা খবর দেন কাঁথি থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে দরজা ভাঙার পর দেখতে পায়, চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সামন্তর স্ত্রী মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই ডাক্তারের একটি মেয়ে, দীর্ঘ চার বছর ধরে মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। যার জেরে নাজেহাল এলাকার স্থানীয় মানুষজনও। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করলেও, পরিবারের পক্ষ থেকে কেউই মুখ খুলতে নারাজ। ছেলে ইন্দ্রনীল সামন্তকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
জানা গিয়েছে, চিকিৎসকের মেয়ের নাম মিঠু। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এ নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পরে সম্পূর্ণ বিষয়ের কিনারা হবে বলে মনে করছে স্থানীয় মানুষজন থেকে পুলিশ সবাই।