পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা। আজ মহালয়া।মহালয়ার পূর্ণ তিথিতে ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পণ।তবে কেন করা হয় এই তর্পণ?
তর্পণের মানে তৃপ্তিদান। শাস্ত্রকথা মতে, হিন্দুরা বিশ্বাস করে থাকেন,পরলোকগত প্রিয়জনের আত্মার তৃপ্তিদানে জলদানের রীতিতেই লুকিয়ে তর্পণের প্রাথমিক তত্ত্ব।বিশ্বাস, প্রয়াত পূর্বপুরুষের আত্মার বিনাশ নেই। তাই সেই আত্মার তৃপ্তির জন্য শ্রাদ্ধকর্ম উত্তরপুরুষের কর্তব্য। শাস্ত্রমতে জলদান করলে সেই আত্মা তৃপ্তি লাভ করেন।
প্রত্যেকটি গঙ্গার ঘাটে চলছে এই তর্পণ।
পূর্ব মেদিনীপুরেও দেখা গেল সেই দৃশ্য। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট গৌরাঙ্গ ঘাটে চলছে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে দর্পণ। বিভিন্ন মানুষ তারা ঘাটে এসেছেন এবং তাদের পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে জল নিবেদন করে তর্পণ সারছেন। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে,নিরাপত্তার জন্য মোতায়ন করা হয়েছে কোলাঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পিতৃপক্ষ শেষে মাতৃপক্ষের সন্ধিক্ষণে পিতৃ তর্পণ কোলাঘাটের রূপনারায়ন নদীর তীরে। কলকাতার গঙ্গা নদীর তীরের সাথে সাথে পিতৃ তর্পণের ছবি দেখা গেল কোলাঘাট রূপনারায় নদীর তীরে। গৌরাঙ্গ ঘাট সহ বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পণ। অপরদিকে তমলুকে রূপনারায়ণ নদীর তীরে চলছে পিতৃ তর্পণ।