ঘূর্ণিঝড়ে বনমন্ত্রীর নির্দেশ,ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে এবার দোসর ঘূর্ণিঝড় যশ।ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।তাই ঝড় আসার আগেই সাধারণ গরিব মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে ফ্লাড সেন্টার ও স্কুলে।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,কুমড়া পঞ্চায়েত প্রধান রত্না বিশ্বাস ও পঞ্চায়েত সদস্যদের উদ্যোগে চলছে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়ার কাজ।আবহাওয়া দপ্তর আগেই সতর্ক করেছে বুধবার আঁছড়ে পড়তে পারে যশ।তারই কারণে কাঁচা বাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের সরিয়ে আনা হচ্ছে নিরাপদ স্থানে।সেই জন্য পঞ্চায়েতের অধীনে যত স্কুল রয়েছে সেগুলোতে অস্থায়ী তাবু তৈরি করা হয়েছে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে।পাশাপাশি মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার করে সাধারণ মানুষকে ফ্লাড সেন্টারে যাওয়ার অনুরোধ করছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা।সমস্ত স্কুলগুলিকে স্যানেটারিজ করে ও বন্যা কবলিত এলাকায় যে ফ্লাড সেন্টারগুলি তৈরি করা হয়েছে সেগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে আপৎকালীন ভিত্তিতে।খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এমনটাই দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান।বছর বছর ভোটের সময় হাজার প্রতিশ্রুতি পেলেও প্রত্যেক বছরই অল্প জল হলেও অসহায় মানুষগুলিকে ফ্লাড সেন্টারে যেতে হয়।প্রত্যেক বছরই একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।পঞ্চায়েত প্রধান রত্না বিশ্বাস জানান, ১৮ টি সেন্টার করা হয়েছে যেখানে প্রায় ৫০০ মানুষ থাকতে পারবেন।সবমিলিয়ে প্রশাসন প্রস্তুত বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায়।