গ্রামের মধ্যে প্রয়োজন পরিস্রুত পানীয় জলের জলধারা। সে মত অবস্থায় জলধারা নির্মাণ করার জন্য নেওয়া হয়েছিল গ্রামেরেই একজনের জমি। এরপরে সবকিছু সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী নথিপত্র তৈরি করা হয়েছিল এমনকি জমি মাপামাপিও করে ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু রাতের আঁধারে কৌশলগতভাবে জমি দাতার নাম বদল করে জলধারা তৈরির অভিযোগ উঠেছে অন্যত্র গ্রামের বাসিন্দার বিরুদ্ধে। পুরো বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, বুধবার পুরো বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে সমষ্টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক কে ঘেরাও করে অভিযোগ জানান মালদহের পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানী গ্রামের পঞ্চায়েতের সানজাইল গ্রামের বাসিন্দারা।
পাশাপাশি কিভাবে রাতারাতি পিএইচই দপ্তরের জলধারা নির্মাণে জমি দাতার নাম বদল হয়ে গেল তা জানতে চাইলে ভূমি সংস্কার আধিকারিক গ্রামবাসীদের প্রশ্নে সদুত্তর দিতে পারেননি।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, জলধারা নির্মাণ হলে সেখানে একজনের কর্মসংস্থান হবে। সেই লোভে অনত্র্য গ্রামের বাসিন্দা পিএইচই দপ্তর এবং ভূমি রাজস্ব দপ্তরের সাথে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে যোগসাযোগ করেই রাতারাতি জমি দাতার নাম বদলে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
যদিও এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুরাতন মালদা ব্লকের ভূমি সংস্কার আধিকারিক কৈলাস চন্দ্র সরকার জানান, তাকে অন্ধকারে রেখেই পিএইচই দপ্তর এবং ভূমি রাজস্ব দপ্তর এহেন কান্ড ঘটিয়েছে। তিনি এই বিষয়টি পুরোপুরি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় সমষ্টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের গাফিলতির কারণেই অস্থায়ী চাকরির লোভে সেই পরিশ্রুত পানীয় জলধার কবে নির্মাণ হবে সেটাই দেখার বিষয়।