চাকদায় জ্যান্ত সারমেয়কে কেটে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখল এক যুবক, এলাকায় চাঞ্চল্য।

চাকদায় জ্যান্ত সারমেয়কে কেটে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখল এক যুবক, এলাকায় চাঞ্চল্য।

আবারো নারকীয় পৈশাচিক ঘটনা নদীয়ার চাকদহে।এবার এক পথের সারমেয়কে জীবন্ত কেটে টুকরো টুকরো করে বাড়ির সিলিং এ ঝুলিয়ে রাখলো এক যুবক।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,নদীয়া জেলার চাকদা ব্লকের চুয়াডাঙ্গা বাজারের পেয়ারা বাগান এলাকার এক যুবক নাম শ্যামল সরকার বৃহস্পতিবার একটি পথ সারমেয়কে নিজের বাড়িতে আটক করে এবং তার ওপর নারকীয় পৈশাচিক অত্যাচার চালায়।

প্রথমে সারমেয়টির চারটি পা কেটে ফেলে, এবং পরবর্তীতে ওই সারমেয়র পেট কেটে সমস্ত নাড়িভুঁড়ি একটি গামলার মধ্যে রেখে দেয়, তারপর গামছা দিয়ে সারমেয়র গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের বাড়ির সিলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখে।এলাকার মানুষজন সেই বীভৎস দৃশ্য দেখে রীতিমতো ভীতসন্ত্রস্ত এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।এলাকাবাসীর দাবি, এই শ্যামল সরকার সারাদিন মাদকাসক্ত হয়ে থাকেন এবং অধিক মাদক সেবনের ফলে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যার কারণে দিনের পর দিন এইরকমই নারকীয় ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছেন।এইবার পথ সারমেয়কে এই বীভৎসভাবে হত্যা করে বাড়িতে ঝুলিয়ে রেখেছে।এর আগে একটি বিড়ালকে এরকমই অবস্থায় বাড়িতে ঝুলিয়ে রেখেছিল। কার্যত এই ঘটনা শুধু নয় সারা এলাকায় মাদক আসক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত তাণ্ডব চালায় এই শ্যামল সরকার।

এলাকাবাসী যথেষ্ট ভীতসন্ত্রস্ত কারণ এরকম মানুষ যদি পাড়ায় থাকে তাহলে এর থেকে বড় কিছু ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন তারা।সূত্র মারফত জানা যায়, এই শ্যামল সরকার এবং তার পিতা দুজনেই বাড়িতে বসবাস করেন।কিন্তু এই শ্যামল সরকার দিনের পর দিন যে রকম পৈশাচিক নাটকীয় ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে,তাতে পাড়ায় বসবাস করা দায় হয়ে ঠেকেছে। যদিও এই ঘটনা দেখে সরব হন এলাকাবাসীরা এবং তৎক্ষনাৎ চাকদা থানায় তারা অভিযোগ জানান।কিন্তু পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গিয়েছে, যতক্ষণ না লিখিত কোন অভিযোগপত্র জমা পড়ছে, ততক্ষণ কিছু করা যাবে না , এমনটাই পুলিশ জানিয়েছে।তবে এহেন নারকীয় পৈশাচিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চাকদা চুয়াডাঙ্গা বাজারের পেয়ারা বাগান এলাকায়। পেয়ারা বাগান এলাকার মানুষের দাবি ,হয় এই মানসিক বিকারগ্রস্ত মাদকাসক্ত শ্যামল সরকারকে অন্য কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হোক নয়তো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × four =