ছেলের হাতে বাবা খুন।
রান্নার চাল নিয়ে বচসার জেরে বাবাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধ্যে । মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর থানার ভাকুড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নতুন সংগ্রামপুর গ্রামে। সনাতন দাস (৫৫) নামে ওই ব্যাক্তির মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বহরমপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বাপি দাস পলাতক। তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিস।
শুক্রবার রাত্রে বড় ছেলে বাপি দাসের সঙ্গে বাসনপত্র ভাগাভাগি নিয়ে বচসা বাঁধে সনাতন দাসের। ছোট ছেলেকে বেশী পরিমান বাসন দেওয়া হয়েছে বলে দাবী করেন বাপি দাস। বাপ- বেটার গণ্ডগোলের সুত্রপাত সেখান থেকেই। এরপর রান্নার চাল কোথা থেকে এল ওই প্রশ্ন করতেই বাবার সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেন বাপি। কথা বলতে বলতে বাড়ির বারান্দায় নামতেই পেছন থেকে বাবার মাথায় হাসুয়া দিয়ে কোপ মারে বাপি বলে অভিযোগ। সনাতন দাস মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সেখান থেকে চম্পট দেয় বাপি। এলাকার লোক চিৎকার শুনে ছুটে এসে রক্তাক্ত সনাতন দাসকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে শনিবার ভোররাত্রে মৃত্যু হয় সনাতন দাসের ।এবিষয়ে কৈলাস দাস বলেন, শুক্রবার রাত্রে তাঁর কাকা সনাতন দাসের সঙ্গে বাপি দাসের গণ্ডগোল শুনতে পান তিনি। এরপর হঠাৎ দেখেন বাড়ি থেকে হাঁসুয়া হাতে বাপি বেড়িয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি তিনি প্রথমে বুঝতে পারেন নি। এরপর সনাতন দাসের ছোট ছেলে ও বৌমার চিৎকার শুনে বাড়িতে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। কৈলাস দাস বলেন, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর বড় ছেলের সঙ্গে থাকতেন সনাতন দাস।বাপি দাসের স্ত্রী শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কারনে বাপ-বেট একইসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করত। সেই রান্নার চাল নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হতে হল সনাতন দাসকে! এদিকে জেলা পুলিস সুপার সবরি রাজকুমার বলেন, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বাপি দাসের খোঁজে তল্লাসি শুরু করেছপুলিস। শনিবার বিকেলে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।