জঙ্গলের ভেতর থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল নিখোঁজ গৃহবধূর দেহ
চার দিন ধরে গৃহবধূ নিখোঁজ থাকার পর গভীর জঙ্গলের ভেতর থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল মৃতদেহ। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের লাটাগুড়িতে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ক্রান্তি ব্লকের লাটাগুড়ির ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা মিঠুন ওরাও এর স্ত্রী সঞ্চারিয়া ওরাওঁ গত ২৬ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার কোন সন্ধান না পেয়ে শেষমেষ ক্রান্তি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই গৃহবধূর সন্ধানে নেমে পড়ে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশের একটি বিশেষ টিম। তবে সেই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল গৃহবধূর স্বামী মিঠুন। রবিবার সকালে পুলিশের একটি দল গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে হানা দিয়ে তাকে বড়দিঘি চা বাগান থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর মিঠুন স্বীকার করে সে তার স্ত্রীকে খুন করে জঙ্গলে মাটি চাপা দিয়েছে।এরপর ক্রান্তির বিডিও প্রবীর কুমার সিনহা, মাল এসডিপিও রবিন থাপা, ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক সুব্রত গুন ও বন দপ্তরের লাটাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার শুভ্র শঙ্খ দত্ত অভিযুক্তকে নিয়ে লাটাগুড়ির জঙ্গলে যান। জঙ্গলের ৫ নম্বর কম্পার্টমেন্ট থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় ওই মহিলার মৃতদেহ। ক্রান্তি ফাঁড়ির ওসি জানান, মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।