জাতীয়স্তরের শ্যুটার কণিকা লায়েকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার।
হাওড়ার বালির একটি মহিলা গেস্ট হাউসে তিনি পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন তিনি। বুধবার দুপুরে তাঁর দোতলার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে কনিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে খেলাধূলো-তে আশানুরূপ ফল না হওয়ার মন কষ্টের কথা তিনি লিখেছেন বলেই জানাচ্ছেন পুলিশ তদন্তকারীরা। মা-বাবার স্বপ্ন ও আশা পূরণ না হওয়ার কথাই তিনি বারবার লিখেছেন ওই নোটে।পুলিশ ওই তরুনীর মোবাইলটি উদ্ধার করেছে। ধানবাদের বাসিন্দা প্রতীম লায়েকের মেয়ে কনিকা। তাঁরা পাঁচ বোন। জয়দেব কর্মকার নামের এক প্রশিক্ষকের অধীনে তিনি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বিয়ে ঠিক করেছিলেন পরিজনেরা। কিন্তু তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ ছিল না কনিকার।সে বিষয়েও সুইসাইড নোটে কিছু লেখেননি তিনি।প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান জাতীয়স্তরের ওই খেলোয়াড় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।তাঁর ট্যুইটারে সে কথাই তুলে ধরেছেন তিনি।২০২০ -র জানুয়ারিতে ঝাড়খণ্ডে রাজ্য স্তরের রাইফেল শ্যুটিং প্রতিযেগিতায় সোনা ও রূপোর পদক পান তিনি।কিন্তু ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফে কোনও প্রকার সাহায্য মেলেনি বলেও ট্যুইট করেছিলেন কনিকা।দামী রাইফেল কেনার জন্য সহযোগিতা চেয়েছিলেন।সেই সময় অভিনেতা সোনু সুড ওই ট্যুইট দেখেন।তিনি ট্যুইট করে কনিকাকে জানিয়েছিলেন, “আমি তোমাকে রাইফেল দেব।” খুব তাড়াতাড়ি রাইফেল পৌঁছে যাবে কনিকার কাছে। দেশের জন্য কণিকা আরও মেডেল আনুক সেই প্রার্থনাও করছিলেন সোনু।এ দিন কনিকার ঘর থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে তাতেও খেলাধূলার স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কনিকা।
