বেলঘড়িয়া দেশপ্রিয় নগরের ৬৭ নম্বর জাগ্রত পল্লীর বাসিন্দা জুনিয়ার মির্ধা ডাকনাম বাবাই।২৬ বছর ১০মাসে ২০১১ সালের ১২ ই জুলাই খুন হন মির্ধা।অবশেষে সেই খুনের মূল অভিযুক্ত সিবিআই এর হাতে ধরা পড়ল প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী। সোমবার রাতে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে বিধাননগর থেকে আটক করে সিবিআই।মঙ্গলবার দুপুরে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে তোলা হয়।
মূল ঘটনাটি হল ,২০১১ সালের ১২ ই জুলাই বেলঘড়িয়া দেশপ্রিয় নগরের ৬৭ নম্বর জাগ্রত পল্লীর বাসিন্দা জুনিয়ার মির্ধা। ২৬ বছর বয়সে সে স্নাতক পাস করে বাণিজ্য বিভাগ নিয়ে। তারপরে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পাশ করে এবং এমসিএ পাস করে একটি সফটওয়্যার সংস্থায় কাজ করতো। তার সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় বলরাম চৌধুরী বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং মোহনবাগান ক্লাবের কর্মকর্তা তার ছেলের বউ এই প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী। প্রিয়াঙ্কা প্রায় দিনই জুনিয়ারের বাড়িতে আসত। দীর্ঘদিন তাদের পরিচয় ছিল এবং বাড়িতেও আসা-যাওয়া ছিল ।হঠাৎ ২০১১ সালের ১২ই জুলাই রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রিয়াঙ্কা ফোন করে।সেই সময় জুনিয়র বাড়ি ফিরছিল বাড়িতে। ফিরেই মার সাথে দেখা করে সে আবার ফিরে যায় প্রিয়াঙ্কার সাথে দেখা করতে।রাত দশটার পরে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর তাকে পাওয়া যায়।সেই খবর বাড়িতে আসে জুনিয়ারের এক বন্ধুর মাধ্যমে।খবর পেয়েই পাড়ার লোকেরা এবং বন্ধুরা ও পরিবারের লোকেরা বরানগর থানায় যায়। সেখানে তারা দেখতে পায় তার কোমরের কাছে গুলি করা হয়েছে।ব্যারাকপুরে এই ঘটনার ময়নাতদন্তের পর থেকে খুনের তদন্ত শুরু হয়।সেই খুনের তদন্ত গিয়ে পৌঁছায় কলকাতা উচ্চ আদালতে।তদন্তের ভার নেয় সিআইডি। তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে জুনিয়ার মির্ধার পরিবারের লোকেরা দাবি করে সিবিআই তদন্তের।এরপরই থেকেই শুরু হয় সিবিআই তদন্ত।সেই তদন্তে সোমবার রাতে বিধাননগর থেকে সিবিআই জুনিয়ার মির্ধার খুনের মূল অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী (মুন) কে আটক করে।এদিন দুপুরে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে সিবিআই এর পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়।এই তদন্ত কোন দিকে যায় এবং জুনিয়র মৃধার পরিবারের লোকেরা দাবি করেছে,তার ছেলেকে যারা গুলি করে মেরেছে তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি তারা করছে।তারা জানান,আদালতের উপর আস্থা আছে।তাদের ছেলে সঠিক বিচার পাবে।