পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত দুজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল ঝাড়গ্রাম আদালত। জানা গেছে ২০২১ সালে ৪ই নভেম্বর ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার একটি গ্রামে পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যা নিখোঁজ হয়ে যায় এরপর ওই শিশু কন্যার পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ই নভেম্বর নয়াগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। নয়াগ্রাম থানার পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর ওই এলাকার বাসিন্দা ফাগুন মান্ডি ও রবীন্দ্র রাউত কে গ্রেফতার করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার পর ৭ই নভেম্বর ওই এলাকার একটি ঝোপঝাড় থেকে ওই শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় খুনের ঘটনায় ব্যবহুত জিনিসপত্র। রবীন্দ্র রাউতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় শিশু কন্যার গলায় থাকা একটি লকেট। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে ৩০শে ডিসেম্বর ২০২১ সালে ঝাড়গ্রাম আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। ২০২২ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি চার্জ গঠন হয়। ২০২২ সালের ৬ জুন সাক্ষী গ্রহন শুরু হয়। এরপর আদালতে ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২৭ এ জুন মঙ্গলবার অভিযুক্ত ওই দুইজনকে দোষী সাব্যস্ত করে করে ঝাড়গ্রাম এডিজে ২ কোর্টের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। ২৮শে জুন ঝাড়গ্রাম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় ২জন অভিযুক্তকের মৃত্যু দন্ডের সাজা ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত ওই দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে দু’বছর জেলের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা ওই শিশু কন্যার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দেখুন আরো খবর…