শনিবার বিকেল ৫টা থেকে সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করা হয় ভারত-পাকিস্তান উভয় পক্ষ থেকে। কিন্তু তার ঘণ্টা তিনেক পর থেকেই পাকিস্তান ফিরে গেল তার পুরনো ঐতিহ্যে। ফের সীমান্তে গুলি এবং টানা গোলাবর্ষণ চালায় ইসলামাবাদ। মোট ১১টি জায়গায় গোলাবর্ষণ করা হয়। বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি রাত ১১টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট ভাষায় জানান, দু’দেশের ডিজিএমও-র পক্ষ থেকে সংঘর্ষবিরতির যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তা লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। বিগত কয়েক ঘণ্টায় সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ চালিয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এই ঘটনা ভারত শুধু গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তাই নয়, সরাসরি সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। পাকিস্তানকে বলা হচ্ছে, তারা যেন এখনই এবিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেয় এবং ঘটনার গভীরতা বোঝার চেষ্টা করে। ভারতীয় বাহিনী একদিকে যেমন পাল্টা কড়া জবাব দিচ্ছে, অন্যদিকে সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে। সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কিংবা এলওসি পেরনোর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কড়া জবাব দেবে ভারতীয় বাহিনী। জম্মুর এগারোটা সেনাক্যাম্পে এক সন্দেহভাজন হামলা চালায় বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারত।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিদেশ সচিব সংঘর্ষবিরতির কথা জানান। এদিন বিকেল ৫.৩৩ মিনিটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স-হ্যান্ডেলে সংঘর্ষবিরতির খবর জানান। তিনি লেখেন, রাতভর (৮ ঘণ্টা) ভারত-পাকিস্তানের শীর্ষস্তরে দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই ‘সংঘর্ষ বিরতি’তে রাজি হয়েছে। তিনি দু’দেশকেই অভিনন্দন জানান এই সদর্থক পদক্ষেপের জন্য। কিন্তু যুদ্ধ বিরতি আটকানো গেলো না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

six + 15 =