ডুয়ার্সে হাতির হামলায় মৃত দুই।
ভোর থেকে ডুয়ার্সে হাতির তাণ্ডব।একই দিনে হাতির হানায় মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। সেই সাথে একটি রিসোর্টে হামলা চালায় হাতিটি। শুক্রবার ভোরে জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম আগ্নু ওরাওঁ ও বিজয় ওরাওঁ। আগ্নুর বাড়ি নর্থ ইংডং বস্তি এলাকায়। বিজয়ের বাড়ি মঙ্গলবাড়ি লাল শুক্রা পাড়া এলাকায়। পাশাপাশি হাতিটি উত্তর ধূপঝোরা এলাকার একটি বেসরকারি রিসোর্টেও হামলা চালায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর বেলায় প্রথমে হাতিটি ওই রিসর্টে হামলা চালায়। এরপর ভোর চারটা নাগাদ হাতিটি মঙ্গলবাড়ি লাল শুক্রা পাড়ায় যায়। ওই সময় বিজয় ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। হাতিটি ঘরের বেড়া ভেঙে বিজয়কে শুঁড় দিয়ে বিছানা থেকে তুলে নিয়ে তাকে আছড়ে মেরে ফেলে। এরপর হাতিটি সেখান থেকে যায় নর্থ ইনডং বনবস্তিতে। সেখানে আগ্নুর বাড়ির উঠোনে ধান খেতে ঢোকে হাতিটি। হাতির দেখতে পেয়ে আগ্নু বাড়ি থেকে বের হতেই তাকে বাড়ির উঠনেই শুর দিয়ে ধরে ফেলে হাতিটি। তাকে শুঁড় দিয়ে শূন্যে তুলে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ভোরেই এলাকায় যায় মেটেলি থানার পুলিশ ও খুনিয়া স্কোয়াডের কর্মীরা। পুলিশ দুটি দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।এরপর সকালে মৃতদের বাড়ি যান এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা সহ অন্যান্যরা। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দুটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।পাশাপাশি সরকারি নিয়মে যাতে পরিবার দুটি ক্ষতিপূরণ পায় সেই বিষয়ে বন দপ্তরকে বলা হবে। বনদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিয়মেই তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ বনদপ্তরে খবর দেওয়ার পরেও তারা সঠিক সময় আসেনি।মাঝেমধ্যে এলাকায় হাতি সহ অন্যান্য বন্য জন্তু ঢুকে পড়ে।তাদের অভিযোগ, বনদপ্তর সঠিকভাবে যাদের দায়িত্ব পালন করছে না। এই কারণেই বন্য জন্তুর হামলায় মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
