রাজ্যের কর্মক্ষেত্রে বড় সুযোগ। তাজপুর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ এগোল আরও এক ধাপ।আদানি গোষ্ঠী এই বন্দর তৈরির দায়িত্ব পেল। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হল। শিগগিরই মুখ্যমন্ত্রীর ‘লেটার অফ ইনটেন্ড’ হাতে দিয়ে তাঁদের আহ্বান জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী।সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি আদানি গোষ্ঠী।।। তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক ভাল। এর আগে একাধিকবার তিনি নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে দু’জনের মধ্যে। হলদিয়া, তাজপুরে বন্দরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন আদানি।শুধু তিনিই নন, তাঁর ছেলেও নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন।তখনই বোঝা গিয়েছিল,এ রাজ্যে বিনিয়োগ নিয়ে আদানি গোষ্ঠী আগ্রহী।তেমনই মুখ্যমন্ত্রীও এই শিল্পগোষ্ঠীকে সুযোগ দিতে চান,সেই ইঙ্গিতও ছিল স্পষ্ট।

এমনকী চলতি বছরের বাণিজ্য সম্মেলনেও গৌতম আদানি তাজপুর বন্দর নিয়ে আগ্রহের কথা শুনিয়েছিলেন। মোটের উপর আদানি গোষ্ঠীর বঙ্গে বিনিয়োগ নিশ্চিতই ছিল। সোমবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়ল। এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,তাজপুর বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হবে আদানি গোষ্ঠীকেই। তাঁরাই নির্মাণের পর যাবতীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব তাদেরই। শিগগিরই আদানিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ‘লেটার অফ ইনটেন্ড’।এই বন্দর তৈরি হলে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ যেমন সহজ হবে,, তেমনই প্রচুর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ থাকছে।এছাড়া হলদিয়া বন্দরের উপর থেকেও চাপ কমবে। এখন বন্দরের কাজ শুরুর অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

twelve + 18 =