সারা বছর তিনি মা তারা। কালীপুজোয় তারাপীঠের সেই মা তারা কালী রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। সেবায়েতদের কাছে মা তারা এই দিনটায় তারা অঙ্গে কালী রূপে বিরাজ করেন। কালী পুজোর রাতে মা তারা স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত হন। আর স্বর্ণালঙ্কার শোভিত রাজ রাজেশ্বরী বেশে মা তারার দর্শন পাওয়ার জন্য কালী পুজোর দিন তারাপীঠে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। তারাপীঠ মন্দির চত্বর তো বটেই, গোটা তারাপীঠই উৎসবের আনন্দে সেজে উঠে। আলোর রোশনাই সেজে উঠেছে সমগ্র তারাপীঠ মন্দির চত্বর। ভোর বেলা মা তারা কে বিশেষ মঙ্গল আরতি দিয়ে শুরু হয় পুজো। অন্যান্য অমাবস্যা তিথির থেকে কালীপুজোর দিন গভীর রাতে সেবায়েতদের মতে নিশিপুজো হয় তারা মায়ের। নিশি পুজোর সময় মা তারাকে স্নান করিয়ে বেনারসী শাড়ির সঙ্গে স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিত করা হয়।কালীপুজোর দিন মা তারার জন্য দু’বেলা অন্নের ভোগ হয়। অন্নের ভোগে খিচুড়ি, পোলাও, পাঁচ রকম ভাজা, দু-তিন রকমের তরকারি, মাছ । একই সঙ্গে মন্দির চত্বরে ছাগ বলিদানের মাংস, পোড়ানো শোল মাছ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টির ভোগ নিবেদন করা হয়। এ ছাড়াও সন্ধ্যারতির সময় লুচি-মিষ্টির ভোগ নিবেদন করা হয়। উৎসব মুখর তারাপীঠ সকাল থেকেই ভিড় করেছেন পুণ্যার্থীরা। কালীপুজো উপলক্ষে মন্দির চত্বর-সহ তারাপীঠ শ্মশান এলাকায় পুলিশ-প্রশাসন থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × three =