তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বাগৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে,
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সিমলা গ্রামে। অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃত গৃহবধুর নাম সুখী বিবি(১৯)।অভিযুক্ত স্বামীর নাম মোতালেব আলী (২২)।অভিযুক্ত স্বামীকে বেধড়ক মার দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল গ্রামবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,অভিযুক্ত স্বামী ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। বিয়ের পর থেকেই সুখী এবং মোতালেবের মধ্যে মাঝেমধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। মোতালেব ছিল নেশাখোর এবং অন্য নারীতে আসক্ত বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি দীর্ঘদিন ধরে। আর এই অশান্তির জেরেই সুখী বিবিকে মারধর করত মোতালেব। সুখী বিবি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে জানা গেছে। সুখির পরিবারের লোকরা জানিয়েছে গতকাল রাত্রেও সুখী ফোন করে তাকে মারধর করা হয়েছিল বলে জানায়। তারপরে বুধবার সকালে জানা গেছে সুখী বিবিকে আজ সকালে মৃত অবস্থায় তার বাড়ির বিছানায় পাওয়া গিয়েছে। সুখির পরিবারের লোকরা জানিয়েছে মেয়ের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং গলায় শ্বাসরোধ করার চিহ্ন রয়েছে। এদিকে সাত সকালে সুখী বিবির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে সিমলা গ্রামের মানুষজন। তারা মোতালেবের বাড়িতে হামলা চালায়। মোতালেবকে বাড়ির বাইরে এনে চলে ব্যাপক মারধোর। এলাকায় নেশাখোর এবং চরিত্রহীন বলে পরিচিত ছিল মোতালেব। তার বউয়ের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীর হাত থেকে অভিযুক্ত মোতালেবকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মোতালেবের বাবা মা সহ বাকি অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতনদের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।