তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে,যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের বুথ সভাপতি
তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তার সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন এমনটাই দাবি তৃণমূলের বুথ সভাপতি। এটা শুধুমাত্র পারিবারিক বিবাদ। এই ঘটনায় কোন রাজনৈতিক ঘটনা জড়িত নয় শুধুমাত্র উদ্দেশ্যপূর্ণদিতভাবে রং লাগানো হচ্ছে। দাবি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। পুরো ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।বাড়িতে চালা দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। পারিবারিক বিবাদে সংঘর্ষের জেরে আক্রান্ত উভয় পক্ষের ১০। যাদের মধ্যে রয়েছে ২ মহিলা। দুই পক্ষের ৫ জনের মাথা ফেটেছে। গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর উভয়পক্ষ ই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে গাজোল থানায়। ঘটনা দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবড়া কুড়ি এলাকার। এই ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রং। এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে আইরিন খাতুন (৩৫) সহ তার পরিবার। তার মাথায় ও হাতে গুরুতর চোট রয়েছে। এছাড়াও তার পরিবারের আক্রান্ত হয়েছে আহিদুর রহমান (৪৬) রাজ্জাক হোসেন (৩৭) শফিকুল ইসলাম (৩৭) মাসৃকুল আনোয়ার (২৩) সালমান সরকার (১৮)। আইরিন খাতুন এর পরিবারের অভিযোগ তার পার্শ্ববর্তী আবুল কালাম হাসানুজ্জামান, ও মুন্না জিসান আলী তাদের জায়গায় ঘরের চাল তুলছিল। সেই সময় আইরিন খাতুন এর পরিবার তাতে বাধা দেয়। এটাই ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণ মাসের হুমকি দেয় তারা। এরপর আইরিন খাতুনের স্বামীর উপর চড়াও হয় আবুল কালাম হাসানুজ্জামান এর পরিবার। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সেই বিবাদ থামাতে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে আবুল কালাম হাসানুজ্জামানের পরিবারের অভিযোগ তাদের পরিবারের আক্রান্ত হয়েছে চার জন। যার মধ্যে রয়েছে আবুল কালাম হাসানুজ্জামান (৩৬) তোবারাক হোসেন (৬৭) মুন্না জিসান আলী (২৭) রুপালি খাতুন (২৬)। তাদের অভিযোগ পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপরেই তাদের পরিবারের চারজনকে বেধরক মারধর করে আইরিন খাতুন এর পরিবার। এই ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রঙ। আবুল কালাম হাসানের জামান এর পরিবারের অভিযোগ দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের থালি পুকুর তৃণমূল বুথ সভাপতি আজিজুর রহমান ও তার দলবল ওই পরিবারের সাথে এসে কাজ বন্ধ করতে বলে বাড়ির একটি গোয়ালঘর ভাঙচুর করে। তৃণমূল নেতার উপস্থিতিতে ই এই ঝামেলা বাঁধে এবং তৃণমূল নেতারাই তাদেরকে মারধর করে। তারাও দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করে।
যদিও তাদের তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের থালি পুকুর বুথের তৃণমূল সভাপতি আজিজুর রহমান। তার দাবি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন।
এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনার সাথে রাজনৈতিক কোন যোগ নেই। বুথ সভাপতির বাড়ির পাশে গন্ডগোল হওয়ায় সে এলাকার মানুষ হিসেবে যেতেই পারে। এখানে শুধুমাত্র উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনটাই জানাবেন দেওতলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ফারহাদ হোসেন।